সুন্দরী নন, মুখে ভর্তি দাগ, বার বার অপমানিত হয়েও নিজের দক্ষতায় প্রতিষ্ঠিত হন স্বাগতা মুখার্জী

নিউজশর্ট ডেস্কঃ আমাদের সোসাইটির একটা বড়ো অংশ আজও মহিলাদের ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করতেই ব্যস্ত থাকেন। আজও তাদের মনে হয়, মহিলা মানেই দূর্বল চিত্তের একজন মানুষ। আর প্রতিটি কর্মক্ষেত্রেই কিছু সবজান্তা গামছাওয়ালা থাকেন যারা মূলত মহিলাদেরই টার্গেট করে থাকেন। চেষ্টা করেন তাদের স্বপ্নকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার। এরকমই কিছু অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন অভিনেত্রী স্বাগতা মুখার্জী (Swagata Mukherjee)।

সম্প্রতি ‘জোশ টকস’-র মঞ্চে এসে নিজের জীবনের অতীত ঘেঁটে বার করলেন অভিনেত্রী। জানালেন অতীতের সেইসব তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা। খুবই অল্প বয়সে ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেছিলেন স্বাগতা। প্রথম যখন টলিউডে পা রাখেন সেইসময় তার মুখে অনেক দাগ ছিল। যদিও তা বয়সের সাথে সাথে অনেকটাই ফিকে হয়ে গিয়েছে তবে এই দাগের জন্য যে অপমান তাকে সহ্য করতে হয়েছে সেই ঘা আজও দগদগে।

অভিনেত্রী জানান, এই বিষয়ে প্রথম আঘাতটা আসে স্বাগতার মায়ের বান্ধবীর কাছ থেকে। এমনকি তিনি স্বাগতার স্কিন ট্রিটমেন্ট করানোরও সাজেশন দেন নাকি। যদিও জীবনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য নয়, তিনি বলেছিলেন এই রকম স্কিন থাকলে নাকি স্বাগতার কোনোদিনই বিয়ে হবেনা। যদিও ইতিমধ্যেই তিনি নিজের ট্রিটমেন্ট শুরু করে দিয়েছিলেন কিন্তু এই কথা শোনার পর তা অবিলম্বে বন্ধ করে দেন স্বাগতা।

সবকিছুর উর্ধ্বে গিয়ে তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে, তার পরিচিতি বাহ্যিক সৌন্দর্যে নয় বরং মুখের দাগ এবং অভিনয় দিয়েই হোক। জোরকদমে শুরু করেন গানের প্র্যাক্টিস। এরপরই জুড়ে যান থিয়েটারে। একটার পর একটা প্রোজেক্টে জুড়তে জুড়তে স্বাগতা একটা কথা বুঝতে পেরেছিলেন যে, অভিনয়টাই তার ভফিতব্য। আর তাই এই রাস্তাটাকেই কেরিয়ার হিসেবে বেছে নেন তিনি।

এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অভিনয়টা শেখানোর জিনিস নয়। গোটাটাই উপলব্ধি এবং নিজস্বতা। নিজের চরিত্র থেকে অন্যের চরিত্র চিত্রায়ণে সঁপে দেওয়ার নামই অভিনয় বলে মনে করেন তিনি। অভিনেত্রীর কথায় সমস্ত চরিত্রই সমান গুরুত্বপূর্ণ। স্বাগতার মতে, একমাত্র পরিশ্রমই অভিনেতার সঠিক মূল্য দিতে পারে, টাকা দিয়ে চরিত্র কিনে নেওয়া নয়।

Avatar

Papiya Paul

X