শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: বিকাশ ভবনে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। গত শুক্রবার এসএসসি এবং স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে চলে এই বৈঠক। চাকরিহারা শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের ১৩ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন সেই বৈঠকে। মূলত তিনটি দাবি ছিল তাঁদের। সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই এল বিরাট সিদ্ধান্ত। ২০২৩ সালের অর্ডার করা হল প্রত্যাহার। শিক্ষক আর শিক্ষাকর্মীদের উপকার না অপকার?
বৈঠকে কোন কোন দাবি মেনেছে রাজ্য?
- বৈঠকে বসে শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের ১৩ জন প্রতিনিধির দাবি, যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশের দাবি মেনে নিতে হবে রাজ্য সরকারকে৷ মেনে নিয়েছে রাজ্য। সেই তালিকা তৈরির কাজও শুরু হয়েছে বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে৷
- দাবি উঠেছিল, ২২ লক্ষ ওএমআর প্রকাশের দাবিও মেনে নিতে হবে রাজ্য সরকারকে৷ তাও শুনেছে রাজ্য। যদিও ওএমআর-এর মিরর ইমেজ কাছে নেই বলেই জানিয়েছে এসএসসি। তবে, তদন্তে নেমে সিবিআই যে মিরর ইমেজ জমা দিয়েছে, সেটা এসএসসি-র কাছে রয়েছে৷
- এমনকি এও জানা গিয়েছে যে চাকরিহারা শিক্ষকদের বেতন দেওয়া হবে কি না, সে বিষয়েও ভাবছে রাজ্য সরকার। চাইছে আইনি পরামর্শও।
আরও পড়ুন: ১ ভুলেই খতম আপনার রেশন পাওয়ার স্বপ্ন! নিয়ম কড়াকড়ি করল সরকার

২০২৩ সালের কোন অর্ডার করা হল প্রত্যাহার?
উল্লেখ্য, পড়ুয়া এবং শিক্ষক অনুপাত ঠিক রাখার জন্য ২০২৩ সালে এই বদলি প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছিল। সেই অর্ডারই প্রত্যাহার করল রাজ্য। আপাতত আইনি জটিলতা এড়িয়ে কোনও বদলি করা হবে না বলেই জানানো হয়েছে।জানা গিয়েছে, প্রায় ২৬,০০০ চাকরি-বাতিলের জেরেই শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের প্রশাসনিক স্তরে বদলি স্থগিত করে দিয়েছে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর। ইতিমধ্যেই স্কুল সার্ভিস কমিশনকে জানানো হয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতরের নির্দেশিকা প্রত্যাহারের কথা।