নিউজশর্ট ডেস্কঃ বাঙালির পায়ের তলায় সরষে। তাই একটু হাতে সময় পেলেই এদিক সেদিক ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন বাঙালিরা। কেউ কেউ যেমন সমুদ্র পছন্দ করেন তো কেউ কেউ আবার পাহাড়। অনেকেই আছেন যারা বারবার দার্জিলিং(Darjeeling) গিয়ে একেবারে বোর হয়ে গিয়েছেন। কিন্তু পাহাড়ে যেতে ভালো লাগে তাই বারে বারে সেই একই ডেস্টিনেশন হয়।
তবে পাহাড় মানে কিন্তু শুধু এখন দার্জিলিং নয়। আপনি এই দার্জিলিংয়ের আশেপাশেই বেশকিছু অজানা জায়গার খোঁজ পেয়ে যাবেন। যেখানে একবার গেলে বারবার আপনার মন যেতে চাইবে। এই প্রতিবেদনে একেবারে নতুন এক অফবিট লোকেশন সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাবো। এখানে নিস্তব্ধতা এতটাই যে দিনের বেলাতেও আপনি ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক শুনতে পাবেন।
আর এখানে গেলে আপনি অসংখ্য নাম না জানা পাখি দেখতে পাবেন। বলা যেতে পারে পাখি দেখার সেরা জায়গা এটি। এই জায়গাটি খুবই অজানা। তাই মাত্র একটি হোমস্টে তৈরি হয়েছে কিছুদিন আগে। আবার খুব বেশি সংখ্যক পর্যটক এখানেই থাকতে পারবেন না। এই জায়গার সৌন্দর্য একবার দেখলে মন ভরে যাবে আপনার। চলুন তাহলে এই অজানা জায়গার সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাই।
এই জায়গাটি মিরিকের(Mirik) কাছেই রয়েছে। এই জায়গাটির নাম ‘জিম্বা গাও'(Zimba Gaon)। এখানে অনেক অজানা পাখি দেখার পাশাপাশি আপনি কমলালেবপুর বাগান দেখতে পাবেন। আপনি যে হোমস্টেতে থাকবেন সেখানের বারান্দায় বসেই প্রচুর কমলালেবুর বাগান উপভোগ করতে পারবেন। এখানে জনবসতি কম হতে পারে কিন্তু খাওয়াদাওয়ার জন্য এলাহী আয়োজন করা হয়। একেবারে পাহাড়ের অর্গানিক খাবার এখানে পাওয়া যায়। আপনি যতখুশি কমলালেবুও খেতে পারেন।
কিভাবে যাবেন?
প্রথমে আপনাকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত আসতে হবে। শিলিগুড়ি থেকে মিরিক হয়েও আপনি এখানে যেতে পারেন। শিলিগুড়ি থেকে মিরিকের দূরত্ব হলো ৪৫ কিলোমিটার। আপনি শিলিগুড়ি থেকে শেয়ার গাড়িতে অথবা সরকারি বা সেই মিরিক পর্যন্ত এসে সেখান থেকে প্রাইভেট গাড়ি বা শেয়ার গাড়িতে জিম্বা গাঁও পৌঁছে যাবেন।
শেয়ার গাড়ি বা সরকারি বাসে খরচটা একটু কম হয়। বছরের যে কোন সময় আপনি এখানে ঘুরতে আসতে পারবেন। তবে এখানে মোবাইলের টাওয়ার খুব একটা ভালো পাওয়া যায়। তাই শান্তি ও নিরিবিলিতে কিছুটা দিন সময় কাটাতে পারবেন আপনি।