বিনোদন,টলিউড,গুনগুন,তৃণা সাহা,অভিষেক চ্যাটার্জি,সংযুক্তা চ্যাটার্জি Entertainment,Tollywood,Gungun,Trina Saha,Abhisekh Chatterjee,Sanjukta Chatterjee

Papiya Paul

‘অভিষেকদার মেয়ে হতে চাইনি, দুই বাবাকে নিয়ে আমি খুশি’, অভিনেতার স্ত্রীর বিতর্কে মুখ খুললেন তৃণা সাহা

বাংলা জনপ্রিয় অভিনেতা ( Actor) অভিষেক চ্যাটার্জীর ( Abhisekh Chatterjee) মৃত্যুর পর টলিউড ইন্ডাস্ট্রির বহু ঘটনা প্রকাশ এসেছে। কিছুদিন আগে মুক্তি পেয়েছে প্রয়াত অভিনেতার শেষ ছবির ট্রেলার। আর এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তার স্ত্রী সংযুক্তা চট্টোপাধ্যায় ও তার মেয়ে। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অভিষেকের রিল লাইফের কন্যা তৃণাও ( Trina Saha)। যদিও বেশ কিছুদিন ধরেই তৃণার এক বক্তব্য নিয়ে শোরগোল পড়ে গেছে মিডিয়ায়।

   

যেখানে তৃণা তার পর্দার ড্যাডিকে নিয়ে বলেছিলেন, অভিষেক চাইতেন যে তার মেয়ে ডল বড় হয়ে তৃণার মত হয়ে উঠবে। কিন্তু অভিনেত্রীর এ মন্তব্যকে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেননি অভিষেকের স্ত্রী। আর এখান থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। কিছুদিন আগে অভিষেকের ফেসবুকের একাউন্ট থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করেন সংযুক্তা। এই ভিডিওর সাথে তিনি ক্যাপশনে বেশকিছু বার্তা দিয়েছেন।

যেখানে তার মেয়ে ডলকে নিয়ে ভালো মন্তব্যের সাথে তার মেয়ের সাফল্য নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। সংযুক্তা লিখেছেন, “ওর মেয়ে যে রকম, অভিষেক তাকে সেভাবেই ভালবাসত। আমরা দুজনেই ওকে নিয়ে গর্বিত। আমরা চাই না আর ডল অন্য কারোর মত হয়ে উঠুক। এর সাথে তিনি এটাও লেখেন, এই কথাগুলো বললাম কারণ অভিষেকের এক সহ-অভিনেতা বলেছেন যে ও চাইত আমাদের মেয়ে তার মতো হোক।

এই মন্তব্যের পর সকলে মনে করছেন অভিষেকের সেই সহ-অভিনেতা হলেন অভিনেত্রী তৃণা। তবে এবার এই নিয়ে মুখ খুলেছেন পর্দার গুনগুন। সম্প্রতি বাংলার জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম এই সময় ডিজিটালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তৃণা বলেন, ‘আমি এটা নিয়ে আর কিছুই বলতে চাই না। সংবাদমাধ্যম ইতিমধ্যেই পুরো বিষয়টি নিয়ে বেশ বাড়াবাড়ি করে ফেলেছে। আমি কাউকে দুঃখ দিতে চাইনি। উনি হলেন আমার গুরুজন। আমি জানি কেউ কারো জায়গা নিতে পারে না। আর সন্তান তো সত্যি জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।’

এছাড়া তিনি বলেছেন, ‘কাজ করতে করতে সকলের সঙ্গে ব্যক্তিগত একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু আমি কখনোই অভিষেক দার মেয়ে হয়ে ওঠার চেষ্টা করিনি। আমরা একসঙ্গে লাঞ্চ করতাম মানে এই নয় যে আমি অভিষেকদার মেয়ে হয়ে গেছিলাম। আমার নিজের বাবা রয়েছেন। শ্বশুরমশাই আছেন। আমার দুজন বাবাকে নিয়ে আমি খুব খুশি।’ এখন অবশ্য এসব বিষয়ে মন না দিয়ে নিজের কাজ নিজে নিয়েই ব্যস্ত থাকতে চান গুনগুন।