কৃষাণু, কলকাতাঃ সেভেন সিস্টার্স নিয়ে বারবার উল্টোপাল্টা মন্তব্যের জেরে ভারত বাংলাদেশের থেকে ট্রানশিপমেন্ট সুবিধা তুলে নিয়েছিল আগেই। এরপর বাংলাদেশের সাথে স্থলপথে ব্যবসাও বন্ধ করে দেয় দিল্লি। যার জেরে বাংলাদেশের বস্ত্র শিল্প বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হয়। আর এরই মধ্যে সৌদি আরবও বাংলাদেশকে (Bangladesh–Saudi Arabia relations) বড়সড় ঝটকা দিল।
আর সৌদি আরবে কাজ করতে যেতে পারবেন না বাংলাদেশের শ্রমিকরা। সৌদি আরবে কাজ করতে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল বাংলাদেশ সহ ১৪টি দেশের জন্য। বন্ধ করে দেওয়া হল ব্লক ওয়ার্ক ভিসা। কেন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল সৌদি আরবের তরফ থেকে? বাংলাদেশ ছাড়া আর কোন কোন দেশের নাম রয়েছে এই তালিকায়? ব্লক ওয়ার্ক ভিসা আসলে কী? চলুন জেনে নেওয়া যাক সবিস্তারে।
কেন এমন পদক্ষেপ নিল সৌদি আরব?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গিয়েছে, সারা সৌদি আরব জুড়ে সমস্ত অভ্যন্তরীণ ভ্রমণ এবং ভিসার ব্যবস্থাপনার নিয়নন্ত্রণ আনার জন্য এই বিরাট পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সৌদির মানবসম্পদ এবং সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। জানা গিয়েছে আসন্ন হজ মরসুম শেষ হলেই এই পদক্ষেপ বাস্তবায়িত করা হবে। এবং চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
কোন দেশগুলির ব্লক ওয়ার্ক ভিসা বন্ধ করেছে সৌদি আরব?
একাধিক সংবাদমাধ্যেম প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, সারা বিশ্বের মোট ১৪টি দেশের ব্লক ওয়ার্ক ভিসার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, যার মধ্যে ভারত, বাংলাদেশ সহ রয়েছে পাকিস্তান, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরাক, নাইজেরিয়া, জর্ডান, আলজেরিয়া, ইথিওপিয়া, সুদান, তিউনিসিয়া, ইয়ামেন এবং মরক্কো। তবে, ইতিমধ্যেই যাদের ব্লক ওয়ার্ক ভিসার ক্ষেত্রে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, বা যারা অন্যান্য ক্যাটাগরিতে আছেন, তাদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না। তবে ব্লক ওয়ার্ক ভিসা পেয়েও যারা এখন সৌদি আরবে নেই,তারাও সৌদিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে জটিলতার সম্মুখীন হতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ শৃঙ্গ থেকে উধাও বরফ! এবার কাঞ্চনজঙ্ঘায় পর্বতরোহণে নিষেধাজ্ঞার পথে সিকিম সরকার
ব্লক ওয়ার্ক ভিসা আসলে কী?
ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ব্লক ওয়ার্ক ভিসা হল এমন একটি ভিসা যার ক্ষমতায় সৌদি আরবের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট সংখ্যক বিদেশি কর্মী নিয়োগের অনুমতি পায়। এই ব্লক ওয়ার্ক ভিসা থাকলেই আবেদনকারীরা সাধারণত একটি নির্দিষ্ট কোম্পানিতে কাজের জন্য সৌদি আরবে প্রবেশ করেন। তবে নয়া স্থগিতাদেশের ফলে, নিয়োগকর্তারা নিশেধাজ্ঞার অধীনে থাকা দেশগুলো থেকে নতুন কর্মী নিয়োগ করতে পারবেন না।