শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: রেলের কোষাগারে লক্ষ্মী বিরূপ। যাত্রীদের সস্তায় ভ্রমণ করিয়ে টাকার ভান্ডার ফাঁকা। এবার অগত্যা ভাড়া বাড়াতে চলেছে ভারতীয় রেলওয়ে। বিশেষ করে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) কোচের জন্য, শীঘ্রই আরও ব্যয়বহুল হতে পারে ভাড়া। রেলওয়ে সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি একটি ‘গতিশীল ভাড়া বা ডায়নামিক ফেয়ার’ ব্যবস্থার সুপারিশ করেছে। এর অর্থ হল, বিমানের টিকিটের দামের মতোই, ট্রেনের টিকিটের দাম (Train Ticket Price) কত আসন বাকি আছে তার উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হবে।
কোন যাত্রীদের চাপ বেশি?
এসি কোচে ভ্রমণ করলেই চাপ। যদি গতিশীল মূল্য নির্ধারণ ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয়, তাহলে এসি কোচের টিকিট আরও ব্যয়বহুল হতে পারে। এই পরিবর্তন মূলত তৃতীয় এসি বা উচ্চতর ক্লাসে ভ্রমণকারী যাত্রীদের উপর প্রভাব ফেলবে। উদ্বেগের বিষয় হল যে এটি উচ্চ চাহিদার কারণে এই কোচগুলি বেছে নেওয়া অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য এসি কোচগুলিকে খুব ব্যয়বহুল করে তুলতে পারে।
এ প্রসঙ্গে স্থায়ী কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, মধ্যবিত্তদের জন্য জেনারেল ক্লাসের ভাড়া সাশ্রয়ী থাকা উচিত। তবে, অনেক মধ্যবিত্ত মানুষ এখন থার্ড এসি কোচ বেছে নিচ্ছেন, যা নতুন মূল্য নির্ধারণ ব্যবস্থার সাথে আরও ব্যয়বহুল হয়ে উঠতে পারে। উদ্বেগ রয়েছে যে এসি কোচের দাম বেশি হলে অনেক লোকের জন্য তা অসাধ্য হয়ে উঠতে পারে।
আরও পড়ুনঃ মেঘালয় থেকে সোজা কলকাতা, ৭০০ কিমি দূরত্ব মিটিয়ে চালু হতে পারে নতুন করিডোর
রেলওয়ের আর্থিক অবস্থা কতটা খারাপ?
জানা গিয়েছে, ২০২২-২৩ আর্থিক বছর থেকে, রেলওয়ে তাদের চেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করছে। তাই রেলওয়ে আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে এবং সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য তাদের আরও অর্থের প্রয়োজন। এর সমাধানের জন্য, স্থায়ী কমিটি সমস্ত এসি কোচের জন্য গতিশীল ভাড়া ব্যবস্থা চালু করার পরামর্শ দিয়েছে। এই ব্যবস্থায় ১০% আসন সংরক্ষিত থাকলে টিকিটের দাম বেশি হবে। তারা নিয়মিত ট্রেনের ভাড়া চেক করে এসি এবং নন-এসি ক্লাসের মধ্যে দামের ভারসাম্য বজায় রাখার পরামর্শও দিয়েছে। কমিটি আরও পরামর্শ দিয়েছে যে রেলওয়ে অন্যান্য উপায়ে অর্থ উপার্জন করতে পারে, যেমন অনলাইন নিলাম, বিজ্ঞাপন এবং ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে রেলওয়ের সম্পত্তি ব্যবহার। এই পদ্ধতিগুলি টিকিটের দাম না বাড়িয়ে রেলওয়ের আয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারে।