টিনসেল নগরীর তারকাদের বিলাসবহুল জীবনযাপন দেখলেই তাদের আয় ইনকাম সম্পর্কে আন্দাজ করা যায়। কিং খান শাহরুখ তো বিশ্বসেরা ধনী তারকাদের মধ্যে অন্যতম। তবে বলি তারকাদের মধ্যে অক্ষয় কুমারের সম্পত্তির পরিমাণও কিন্তু কম নয়। দেশের যে কোনো ধনকুবেরকে অনায়াসে টেক্কা দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন তিনি।
দীর্ঘ কেরিয়ারে একের পর এক ছবিতে কাজ করে চলেছেন আক্কি। পারিশ্রমিকের অঙ্কও বাড়ছে দিনদিন। তবে জেনে অবাক হবেন যে, অক্ষয়ের উপার্জনের একটা পয়সাও নিজের স্ত্রীকে দেননা তিনি। হ্যাঁ, একদমই ঠিক শুনেছেন, নিজের রোজগারের কোনো টাকাই স্ত্রী টুইঙ্কলের পেছনে খরচ করতে হয়না অভিনেতাকে।
দিনকয়েক আগেই নিজের ইউটিউব চ্যানেল ‘টুইক ইন্ডিয়া’তে এসে এমনই কিছু বিবৃতি দিয়েছিলেন টুইঙ্কল। অক্ষয় পত্নী জানান যে, তার পেছনে কোনো খরচই করতে হয়না অক্ষয়কে। তার কারণ হলো, তিনি নিজেই খরচের চেয়ে টাকা জমাতে বেশি ভালোবাসেন। নিজের রোজগার থেকেই ছেলে মেয়ের পড়াশোনা এবং নিজের মাস্টার্সের খরচ চালান টুইঙ্কল।
কথাপ্রসঙ্গে অভিনেত্রী জানান, মাত্র ১৭ বছর বয়সে প্রথম পারিশ্রমিক হাতে পান তিনি। তবে সেই টাকায় শুধু লাড্ডুই কেনা হতো। তবে পরবর্তী সময়ে যখন ঠিকঠাক অঙ্কের পারিশ্রমিক পান তখন সবার প্রথম একটা গাড়ি কিনেছিলেন। আসলে স্বাধীনচেতা মনোভাবের অধিকারিনী টুইঙ্কল নিজের খরচ নিজে চালাতেই বেশি পছন্দ করেন। পাশাপাশি ছেলেমেয়ের খরচও তিনিই চালান।
টুইঙ্কলের কথায়, “আমি চাই ছেলেমেয়েরা বড় হয়ে বলুক যে আমাদের মা শুধু আলু পরোটা খাওয়ায়নি, আমাদের পড়াশোনার খরচও দিয়েছে। আমি নিজে খুব সাধারণ জীবনযাপন করি। কোনো কিছুতেই টাকা খরচ করি না। আমার পরিবার আমাকে এই বলে রাগায় যে আমি যদি কিছুতে খরচই না করি, তাহলে রোজগার করছি কেন।”
প্রসঙ্গত, ‘বরসাত’ ছবির হাত ধরে ১৯৯৫ সালে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন টুইঙ্কল। বেশ কিছুদিন ইন্ডাস্ট্রিতে কাটানোর পর অভিনেত্রীর মনে হয় এই পেশা তার জন্য নয়। বাবা মা নামকরা আর্টিস্ট বলে তাকেও সেই ধারা বজায় রাখতে হবে এই ধারণায় বিশ্বাসী ছিলেননা টুইঙ্কল। আর তাই অযথা মাটি কামড়ে পড়ে না থেকে নিজের মনের মতো পেশা খুঁজে নিয়েছেন অভিনেত্রী। এরপরই ২০১৫ সালে লেখিকা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন টুইঙ্কল। বর্তমানে লেখালেখি নিয়েই বেশ জীবন কাটাচ্ছেন তিনি।