Papiya Paul

মাসে মাসে মোটা টাকা উপার্জন করতে চান! তাহলে অল্প পুঁজিতে আজই শুরু করুন এই ব্যবসা

নিউজশর্ট ডেস্কঃ কথায় বলে সঠিক ব্যবসা(Business) হার মানাতে পারে যে কোন উচ্চ বেতনের চাকরিকে। আর এমনিতেও বর্তমানের চাকরির বাজারে রয়েছে যথেষ্ট হাহাকার। অনেকেই শিক্ষিত হয়েও বসে আছেন বেকার হয়ে। তাই অনেকেই ঝুঁকছেন ব্যবসার দিকে। তবে অনেকের ইচ্ছে থাকলেও অর্থ ও অভিজ্ঞতা না থাকায় যেতে পারেন না ব্যবসার দিকে। তবে এমন কিছু ব্যবসাও রয়েছে যেগুলিতে নাম মাত্র বিনিয়োগেই করা যেতে পারে মোটা টাকা উপার্জন। আসুন আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা আলোচনা করব এমনই এক ব্যবসা(Business Idea) সম্পর্কে।

   

এই ব্যবসায় অল্প বিনিয়োগ করেই আপনি লাভ করতে পারবেন মোটা অঙ্কের টাকা। এই ব্যবসাটি হল কাগজের প্লেটের ব্যবসা। হ্যাঁ এটি শুনে আপনার মনে হতেই পারে যে এটি তো নতুন কোনও ব্যবসা নয়, তবে পুরনো খুব সাধারন মনে হলেও এটি একটি লাভজনক ব্যবসা। আমাদের সমাজে নানান সামাজিক অনুষ্ঠান লেগেই থাকে। বিয়ে বাড়ি থেকে পুজো, জন্মদিন থেকে অন্নপ্রাশন সবেতেই প্রয়োজন হয় কাগজের প্লেটের। এছাড়াও ছোট বড় রেস্টুরেন্টগুলিতেও নিয়মিত ব্যবহৃত হয় বহু প্লেট। এই প্লেটের চাহিদা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। এছাড়াও বর্তমানে প্লাস্টিক ও থার্মোকলের প্লেট ব্যান হওয়ার ফলেও বৃদ্ধি পেয়েছে এর ব্যবহার। এই ব্যবসাতে বিনিয়োগ করতে হয় খুবই স্বল্প টাকা। তবে এই ব্যবসা শুরু করার আগে অবশ্যই জেনে নেওয়া উচিৎ কিছু বিষয়ে। সেগুলি হল বাজারে প্লেটের চাহিদা, ব্যবসা শুরু করার মোট খরচ, লাইসেন্স ইত্যাদি।

তবে, একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে সেটি হল “দামে কম মানে ভালো”। অর্থাৎ আপনার জিনিসটি এমনই তৈরি করতে হবে যাতে সেটি অল্প দামে ভালো প্রোডাক্ট হয়। আপনাকে মনে রাখতে হবে ব্যবসার মূল লক্ষ্য হল কম টাকা বিনিয়োগ করে অধিক মুনাফা অর্জন করা। বিনিয়োগের অর্থ অল্প হলেও জিনিসের মান যেন খারাপ না হয়। এ ছাড়াও পাইকারি বাজারের পাশাপাশি, রেস্তোরাঁ, খাবারের স্টল, ক্যাটারার ইত্যাদি জায়গায় আপনি যোগাযোগ করে প্লেট বিক্রি করতে পারেন। এবারে আপনাকে জেনে নিতে হবে কাগজের প্লেট তৈরির ব্যবসা করতে কোন কোন জিনিস প্রয়োজন? আসুন জেনে নিই সেই সম্পর্কে।

উপকরণ হিসেবে প্রথমেই কাঁচামালের কিনতে পারেন অনলাইন বা অফলাইন থেকে । মূলত কাঁচামালগুলি হল ভালো মানের প্রিন্টেড পিই পেপার, যার দাম হতে পারে ৩০ থেকে ৪০ টাকা প্রতি কেজি। এছাড়া লাগবে বটম রিল যার প্রতি কেজির দাম ৪০ টাকা। এছাড়াও আপনাকে মেশিন কিনতে হবে। অটোমেটিক মেশিন এবং ম্যানুয়াল মেশিন দুই ধরনেরই পাওয়া যায়। এই ব্যবসায় বেশিরভাগ জিনিসই তৈরি হয় মেশিনে। যে কোনও শহর বা মফস্বল এলাকায় এই মেশিন কেনা যেতে পারে। যদিও বা বড় মেশিনের দাম কিন্তু বেশি হতে পারে। এছাড়া স্বল্প খরচে ম্যানুয়াল মেশিনও কিনে নিতে পারেন। মেশিনের দাম পড়বে ১৫০০০ থেকে শুরু করে ৬০,০০০ টাকা পর্যন্ত।

সবশেষে একটাই কথা যদি সঠিক বুদ্ধি দ্বারা এই ব্যবসা করা যেতে পারে তাহলে এটি দেবে মোটা রিটার্ন। তবে এই ব্যবসার জন্য অবশ্যই অনুমতি নেবেন সরকারি কর্তৃপক্ষ থেকে। যার ফলে আপনাকে আর কোন রকম বাধার সম্মুখীন হতে হবে না। সাধারণত প্রথম প্রথম আপনি l প্রতি প্লেটের দাম আপনি রাখতে পারেন ৮০ পয়সা করে। এতে আপনারই লাভ হবে।