‘সলমন খান’, এইমুহুর্তে বলিউডের অন্যতম বড়ো নাম। গোটা বলিউডে চলে তার রাজত্ব। জীবনের একটা দীর্ঘ সময় ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছেন তিনি। একাধিক সুপারহিট ছবি উপহার দিয়েছেন সিনেমাপ্রেমীদের। এমনই এক জনপ্রিয় ছবি হলো ‘এক থা টাইগার’। সেই সময়কার সমস্ত রেকর্ড ভেঙেছিলো ক্যাটরিনা সলমনের এই ছবিটি।
রোম্যান্টিক-অ্যাকশন এই ছবিটি তো প্রায় সবাই দেখেছেন। গতকাল ১৫ আগস্ট মুক্তির ১০ বছর পূর্ণ করেছে ছবিটি। সাল ২০১২ এর ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের দিন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিলো ছবিটি। যাইহোক, ছবিটি সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য আলোচনা করবো আজকের এই প্রতিবেদনে।
ওয়ান্টেড আর দাবাং ছবির দিয়ে সলমন তখন ইতিমধ্যেই বক্স অফিসে তার রাজত্ব শুরু করে দিয়েছে। তবে ক্যাটরিনার সঙ্গে এই অ্যাকশন ছবি যেন বাকি সব কিছুর জনপ্রিয়তাকে ছাড়িয়ে গেলো। আর তাও আবার এতোটাই বেশি যে, পরবর্তীকালে ‘এক থা টাইগর’কে একটা ফ্র্যাঞ্চাইজিতে পরিণত করলো ছবির নির্মাতারা।
এইসব কথা কমবেশি সকলেই জানলেও একথা খুব কম মানুষই জানেন যে, যশ রাজ ফিল্মসের সাথে এটিই ছিলো সলমনের প্রথম কাজ। কেরিয়ারের পর্দায় দুই দশক পরে যশরাজের সঙ্গে কাজ করেছিলেন সল্লু মিঁয়া। তবে এই ছবির জন্য প্রযোজকের প্রথম পছন্দ ছিলেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খান।
কিন্তু শাহরুখ সেই সময় শিডিউল ঠিক করতে না পারায় নির্মাতারা ছবিটি হৃতিক রোশনকে দেওয়ার কথা ভাবেন। কিন্তু শেষমেশ ঠিক হয় ছবিটি তারা সলমনকে অফার করবেন। এছাড়াও তুরস্কে শুটিং চলাকালীন গোটা ইউনিট ‘ক্যাফে ডেল মার’ নামে একটি ক্যাফে তে খেতে যেতো। শুনে অবাক হবেন যে, পরবর্তীকালে এই ক্যাফেটির নাম হয়ে যায় ‘সলমন খান ক্যাফে’।
শুধু মাত্র তাই নয়, এটিই ছিলো রণভীর আর সলমনের প্রথম ছবি, এর আগে একসাথে কোনো কাজ করেননি তারা। জানিয়ে রাখি এই ছবির স্টান্ট দৃশ্যগুলি নিখুঁত করে তুলতে মোট ১৪ টি দেশ থেকে নামিদামি স্টান্ট ডিরেক্টরদের হায়ার করা হয়েছিলো। হলিউডের বিখ্যাত অ্যাকশন ডিরেক্টর কনরাড পালমিসানো এই ছবিতে কাজ করেছেন।
‘এক থা টাইগার’এর দ্বিতীয় পার্ট ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’ এই ছবির জনপ্রিয়তায় ঘাটতি হতে দেয়নি। প্রসঙ্গত, খুব শীঘ্রই এর তৃতীয় পার্টও আসতে চলেছে। এমতাবস্থায় বলিউডের যখন ভরাডুবি অবস্থা তখন একমাত্র আশা আলো জ্বালিয়ে রেখেছে এই সিরিজের তৃতীয় সিনেমা, টাইগার-৩।