রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় পাশের দোকানে চোখ পড়তেই যদি সিঙাড়ার দোকানের সামনে বিরাট বড়ো লাইন দেখতে পান তাহলে কি একটু অবাক হবেন? নাকি চোখের ভুল ভেবে এগিয়ে যাবেন? তবে যদি চোখ কচলে দেখেন তাহলে হয়তো বুঝতে পারবেন এ আপনার চোখের ভুল নয় বাস্তব। এমনই অদ্ভুত সিঙাড়া বানিয়ে আর তার সাথে অভিনব কিছু চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসে সবাইকে চমকে দিয়েছে উত্তরপ্রদেশের মিরঠের এক দোকানদার। এমনকি বলা হয়েছে যে, একটি সিঙাড়া খেতে পারলেই মিলবে ৫১ হাজার টাকা। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে রীতিমত শোরগোল ফেলে দিয়েছে মিরুত বাহুবলী সামোসা। কী এমন আছে এই সিঙাড়ায় যা খেতে পারলে নগদ ৫১ হাজার টাকা দেওয়া হবে! আসুন জেনে নিই বিস্তারিত।
সম্প্রতি নেট দুনিয়ায় ছেয়ে রয়েছে এই সিঙাড়া কাহিনী। দোকানদার তার নাম দিয়েছে, বাহুবলী সিঙাড়া ওরফে বাহুবলী সামোসা। আট থেকে আশি সকলের নিশানাতেই এখন এই সিঙাড়া। শোনা যাচ্ছে দোকানদার একটি প্রতিযোগিতা রেখেছে, যেখানে শর্ত দেওয়া হয়েছে যে, মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে একটা গোটা সিঙাড়া খেয়ে ফেলতে পারলেই দেওয়া হবে নগদ ৫১ হাজার টাকা। তবে আপনি যদি ভেবে থাকেন এ আর এমন কি বড়ো ব্যাপার তাহলে খুবই ভুল ভাবছেন।
এটি যে সে সিঙাড়া নয়, পুরো ৮ কিলো ওজনের বাহুবলী সিঙাড়া। ৩০ মিনিটের মধ্যে আপনাকে শেষ করতে হবে এই ৮ কিলো ওজনের সিঙাড়াকে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে এই কর্মকান্ড। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, দোকানদার প্রথমে ৪ কিলোর একটি সিঙাড়া বানিয়ে এই উদ্যোগটি নেওয়ার কথা ভাবেন। কিন্তু তারপরই তার মনে হয় ৪ কিলো বড্ডো কম। ওজন বাড়িয়ে ৮ কিলো করেন। সিঙাড়ার মধ্যে থাকে আলু, মটরের পাশাপাশি পনির এবং বিভিন্ন ধরনের ড্রাই ফ্রুটস। জানা গেছে বিশাল আকৃতির এই জায়েন্ট সিঙাড়াটি ১১০০ টাকা প্রতি পিস বিক্রি করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, তার এই অভিনব চ্যালেঞ্জের খবর ছড়িয়ে পড়তেই বহু মানুষ ভিড় জমিয়েছে চ্যালেঞ্জ অ্যাকসেপ্ট করার জন্য। তবে দূর্ভাগ্যজনক ভাবে এখনো পর্যন্ত একজন মানুষও জিততে পারেনি এই চ্যালেঞ্জ। নেটিজেনদের দাবি, বেশ ভালো মার্কেটিংয়ের বুদ্ধি বের করেছে দোকানদার। এতে কারোর পক্ষেই সহজে এই সিঙাড়া শেষ করা সম্ভব নয়। তাই দোকানদারের বিক্রি তো বাড়ছে কিন্তু দিতে হচ্ছেনা কোনো টাকা। তবে কে বলতে পারে হয়তো কেউ সত্যিই জিতে নিলো এই পুরস্কার।