পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ ২৬,০০০ শিক্ষকের চাকরি বাতিল হওয়ার পর থেকেই উত্তাল পরিস্থিতি বাংলায়। কোথাও আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন যোগ্য প্রার্থীরা তো কোথাও দেখা যাচ্ছে অনেকেই ভেঙে পড়েছেন। তবে এসবের মাঝে সবচেয়ে বড় ক্ষতি যাদের হল সেটা হল উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পড়ুয়াদের। কারণ অনেক স্কুলেই দেখা যাচ্ছে পড়াশোনা প্রায় উঠে যাওয়ার জোগাড় হয়েছে শিক্ষক না থাকায়। এমতাবস্থায় পঠনপাঠন ঠিক রাখতে নয়া উদ্যোগ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের (WBCHSE New Rule)।
স্কুলের পঠনপাঠন বজায় রাখতে নয়া সিদ্ধান্ত উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের
বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। তাঁর মতে, যদি কোনো এলাকায় কিছু স্কুলে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের শিক্ষক না থাকেন আর ওই এলাকারই কোনো একটি বিদ্যালয়ে এই বিষয়ের শিক্ষক থাকেন তাহলে বাকি স্কুলের পড়ুয়াদের সপ্তাহে এক দিন বা দুই দিন করে যে স্কুলে শিক্ষক আছেন সেখাগে গিয়ে ক্লাস করে আসতে হবে। অর্থাৎ, স্কুলগুলিকে বলা হচ্ছে যতদিন চাকরিহারাদের সমস্যার সমাধান না হচ্ছে ততদিন অন্তত এই পদ্ধতি চালু করা হোক। তাহলে উচ্চমাধ্যমিক স্তরের পড়াশোনা মাঝপথে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
শিক্ষা সংসদের নিয়মে ‘যাযাবর’ ছাত্ররাই?
যদিও স্কুলে শীঘ্রই গরমের ছুটি পড়তে হকলেছে তবে সেপ্টেম্বর মাস থেকেই থার্ড সেমিস্টার শুরু হবে। আর থার্ড ও ফোর্থ সেমিস্টার দিয়েই উচ্চমাধ্যমিকের মূল্যায়ন হবে। তাই হাতে আর খুব বেশি সময় নেই। সেই কারণেই পড়ুয়াদের ক্লাস যাতে বন্ধ না হয় সেই ভেবেই এক স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের অন্য স্কুলে যাওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যের মতে, এই পদ্ধতিতে পড়ানোর কথা জাতীয় শিক্ষা নীতিতেও বলা হয়েছে। তাই আপাতত শিক্ষকদের কাছে আবেদন করা হচ্ছে এভাবে পড়ানোর জন্য।
শিক্ষকদের মত
নয়া পদ্ধতিতে পড়ানোর নিয়ম সম্পর্কে শিক্ষক-শিক্ষিকারাও প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তাঁদের মতে, উচ্চ মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের সংখ্যা এমনিই কম। তাই কিছু স্কুলে আগেভাগেই এমন ভাবে পড়ানো চালু করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ সিনিয়ার সিটিজেন ছাড় বন্ধ করতেই পোয়া বারো! ৮,৯১৩ কোটি টাকা লাভ করল ভারতীয় রেল
শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী জানাচ্ছেন, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও এটা মোটেই স্থায়ী সমাধান নয়। অনেক পড়ুয়ারার অভিভাবকরাই চান না সন্তানকে অন্য স্কুলে পাঠাতে। এতে আদতে পড়ুয়াদের সংখ্যা কমে যায় বলেই লক্ষ্য করা গিয়েছে।