শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: আয় বৃষ্টি ঝেঁপে, ধান দেব মেপে। বঙ্গোপসাগরে তৈরি নিম্নচাপ প্রচন্ড দাবদাহ থেকে মুক্তি দিল বাংলাকে। উত্তর থেকে দক্ষিণ, সর্বত্র আজ থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা৷ চলবে আগামী কয়েকদিন ৷ বৃহস্পতিবার থেকেই যদিও জেলায় জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। রাতে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার দাপটে হারিয়েছে ভ্যাপসা গরম। আর কতদিন এমন পরিস্থিতি থাকবে, চলুন জানতে থাকি।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সমুদ্র পৃষ্ঠের বেশ কিছুটা উপরেই অবস্থান করছে জোড়া ঘূর্ণাবর্ত। ৫.৮ কিলোমিটার উপরেরটা রয়েছে উত্তর-পূর্ব বিহারে। ০.৯ কিলোমিটার উপরে উত্তর বাংলাদেশে রয়েছে আরও একটি চক্রবৎ ঘূর্ণাবর্ত৷ এর প্রভাবে বাতাস প্রবেশের অনুকুল পরিস্থিতি তৈরি হয়ে, বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প ধারণ করেছে। এই প্রভাব থাকবে পয়লা বৈশাখ অর্থাৎ ১৪ এপ্রিল সোমবার পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: পথচারীদের সুবিধার্থে নিউটাউনে ৬টি নতুন আন্ডার পাস তৈরির কাজ শুরু, কোথায় কোথায় জানেন?
কলকাতার আবহাওয়া
সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ। ৩০-৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো বাতাস সহ সপ্তাহান্তে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে কলকাতায়। আজ কলকাতার সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ৩৪ ডিগ্রি এবং ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷
দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া
রাজ্যের সব জেলাতেই বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষত ভিজবে পশ্চিমাঞ্চলের কিছু জেলা। বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত হতে পারে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, আজ নিম্নচাপের অভিমুখ হবে উত্তর এবং উত্তর-পূর্ব দিকে। এরপর মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় এটি শক্তি বৃদ্ধি করবে। ফলে আরও বাড়বে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়-বৃষ্টি। তাই ইতিমধ্যেই আজ এবং শনিবার ঝড় ও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের ৬ জেলায়, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমে। সঙ্গে ৪০-৫০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা বাতাস বইবে।
উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া
৪০-৫০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো বাতাস সহ উত্তরবঙ্গেও ৫ জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যু-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার এই ৫ জেলার মধ্যে পড়ে। জানা গিয়েছে, পাহাড়ের দেশে আগামী ২-৩ দিনে প্রায় ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা কমতে পারে। তারপর থেকে তাপমাত্রা স্থিতিশীল থাকবে।