পার্থ মান্নাঃ সামনেই আলোর উৎসব দীপাবলি। তবে তার আগেই এল খুশির খবর, যা শুনে চমকে উঠতে পারেন আপনিও। ৯ই অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালে তিলোত্তমার ধর্ষণ ও খুনের জেরে আজও প্রতিবাদ দেখা যাচ্ছে রাস্তায় রাস্তায়। জুনিয়ার ডাক্তাররা অনশনে বসেছেন। সেই রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কিন্তু দেশের বাকি রাজ্যের তুলনায় অনেকটাই ভালো। হ্যাঁ ঠিকই দেখছেন, বাংলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা যে সত্যিই এগিয়ে তাতে স্বীকৃতি দিল খোদ কেন্দ্র।
স্বাস্থ্য পরিষেবায় এগিয়ে বাংলা!
সম্প্রতি ন্যাশনাল কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স স্ট্যান্ডার্ডস এর শংসাপত্র পেল পশ্চিমবঙ্গ। দেশের বাকি সমস্ত রাজ্যকে পিছনে ফেলে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলা। এর আগের রয়েছে দাদরা ও নগর হাভেল এবং দমন ও দিউ ও চন্ডিগড়। স্বাস্থ্য পরিষেবা সার্বিক ব্যবস্থা থেকে রোগীদের অধিকার, স্বাস্থ্যখাতে কত টাকা খরচ করা হয়, রোগীদের সহায়তা পরিষেবা, ক্লিনিক্যাল কেয়ার থেকে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ এমনকি কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট সব দিক থেকে বিচার করেই এই শংসাপত্র দেয়া হয়।
স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানকারীদের অভিনন্দন মুখ্যমন্ত্রীর
জানা যাচ্ছে জেলা হাসপাতাল, মহকুমা হাসপাতাল, কমিউনিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে শুরু করে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র সব মিলিয়ে বাংলার প্রায় ১২,৮৫৯টি স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্রে পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে ২৩.৬ শতাংশ কেন্দ্রই শংসাপত্র পেয়েছে। ঘোষণা হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বান্ধোপাধ্যায় রাজ্যের সমস্ত স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া কর্মীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। তাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই এটা সম্ভব হয়েছে বলেন জানান তিনি।
এছাড়াও বাংলার স্বাস্থ্য সাথী কার্ড মডেল যেমন সাফল্য লাভ করেছে তেমনি প্রশংসিতও হয়েছে। দক্ষিণ ভারতের ভেলোর চিকিৎসার জন্য বিখ্যাত। সেখানেও নাকি স্বাস্থ্য সাথী কার্ড দিয়ে হাসপাতালের পেমেন্ট করা যাচ্ছে। জানা যাচ্ছে, আরও রাজ্য এই মডেল ফলো করবে। যার ফলে রাজ্যবাসীদের চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়ার জন্য কোনো টাকা খরচ করতে হবে না।
প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্য পরিষেবায় সেরা হওয়ার সুখবরের মাঝেই রাজ্যে জুনিয়ার ডাক্তারদের অনশন জারি রয়েছে। আজ সোমবারেই মুখ্যমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে ডাক্তারদের। তারপরেই বোঝা যাবে অনশন উঠবে নাকি চলবে।