West Bengal Government Hospitals will be Modified after RG Kar Incident

মিলবে অত্যাধুনিক সুবিধা, ভোল পাল্টে যাবে সমস্ত হাসপাতালের! আরজি কর কাণ্ডের পর ঘোষণা সরকারের

পার্থ মান্নাঃ ৯ই অগাস্ট হওয়া আরজি কর হাসপাতাল ও কলেজের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর রীতিমত চমকে গিয়েছিল বাংলার মানুষ। পশ্চিমবঙ্গের জায়গায় জায়গায় প্রতিবাদ রাস্তায় নামে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সেলিব্রিটিরাও। এরপর পুজো এলেও প্রতিবাদ পুরোপুরি দমে যায়নি। দুর্গাপুজোর মাঝেও তিলোত্তমার জন্য বিচারের দাবিতে গলা ছড়িয়েছেন বহু মানুষ। এখনও বিচার না মেলায় জারি রয়েছে প্রতিবাদ কর্মসূচি। তবে এই ঘটনার পর রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে একাধিক ত্রুটি সামনে এসেছে যা দ্রুত ঠিক করারজন্য একাধিক নিয়ম বদল হয়েছে।

বদলে যাবে বাংলার সমস্ত হাসপাতাল

শীঘ্রই পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মধ্যে বড়সড় পরিবর্তন আসতে চলেছে। কারণ হিসাবে জানা যাচ্ছে, কেন্দ্রের থেকে টাকা পেতে হলে হাসপাতালগুলোকে কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে কাজ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেগুলি না করলে কেন্দ্রের থেকে হাসপাতালের জন্য আসা অনুদান আ পাওয়া যাবেনা। আসলে ন্যাশনাল হেলথ মিশন একে ষষ্ঠদশ অর্থ কমিশনের তরফ থেকে স্বাস্থ্য খাতে খরচের পরিকাঠামোগত বাজেট তৈরীর নির্দেশ দেয়া হয়েছে জেলা শাসকদের। যেটা জানার পরেই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য।

হাসপাতালের পরিকাঠামো নিয়ে বড় নির্দেশ

এর প্রধান কারণ হল কেন্দ্রের এই নির্দেশ অনুযায়ী প্রাথমিক কেন্দ্র থেকে শুরু করে জেলা হাসপাতালে বেসিক কাঠামো কিরকম হতে হবে তা জানানো হয়েছে। সেই অনুযায়ী ডাক্তারদের কনসালটেশন রুম, বিশ্রাম ঘর, অপাটেশন থিয়েটার, লিফ্ট, পরিষ্কার শৌচালয় থেকে হাসপাতালে আসার জন্য সাধারণ মানুষের চওড়া সিঁড়ির পাশাপাশি প্রতিবন্ধী ও সিনিয়ার সিটিজেনদের জন্য র‍্যাম্প তৈরী করতে হবে বলে জানানো  হয়েছে। তাই যে সমস্ত হসপিটালে এই পরিকাঠামো নেই সেখানে দ্রুত সেগুলি তৈরী করতে হবে।  এতে করে আগামীদিনে গ্রাম বাংলা তথা শহরের মানুষ যারা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসবেন তারা অনেকটা উপকৃত হবেন।

কি কি নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার?

যেমনটা জানা যাচ্ছে সমস্ত পরিস্থিতির পর্যালোচনা করার পর রাজ্যের তরোগ থেকেই জেলাশাসক ও স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কমিউনিটিহেল্ট সেন্টারের পাশাপাশি সেন্ট্রাল রেফারাল ইউনিটের মত পরিকাঠামো তৈরী করতে বলা হয়েছে। যেখানে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ২৪ ঘন্টাই চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়াযাবে। এর জন্য ডাক্তার, নর্স থেকে হেলপারদের জন্য কোয়াটার তৈরীর বাজেট বানিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। এছাড়াও সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্য পরিষেবার ম্যান উন্নত করারজন্য জেলার হাসপাতাল থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে নজরদারির ব্যবস্থা করতে হবে।

একইসাথে হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার বা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের বসার ব্যবস্থা চালু করতে হবে। চেহারাও জেলা ও মহকুমা হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা বাড়াতে হবে। যেখানে মা ও শিশুদের জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা থাকতে হবে। বিশেষ করে যে সমস্ত শিশুদের জন্মের পর ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে রাখতেই তাদের জন্য সুব্যবস্থার আয়োজন করতে হবে। যদি কোনো হাসপাতালে চাইল্ড ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট  না থাকে তাহলে তৈরী করতে হবে।

Partha Sarathi Manna

Partha Sarathi Manna

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক, রয়েছে রামকৃষ্ণ মিশন থেকে অ্যাডভান্স মাল্টিমিডিয়া ডিগ্রি। পড়াশোনা শেষে বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়াতে কর্মজীবন শুরু ২০২০ সালে। বিনোদন, লাইফস্টাইল, টেকনোলজি থেকে ভ্রমণ সম্পর্কে লিখতে দক্ষ। তবে পড়াশোনা বিষয়ক লেখালিখিতেও বেশ আগ্রহী। কাজের বাইরে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজ দেখতে, ঘুরতে যাওয়াই নেশা মেল - [email protected]

X