পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ গোটা দেশে কয়েক কোটি পরিবারকে খাদ্য সুরক্ষা দেওয়ার জন্য বিনামূল্যে রেশন প্রদান করা হয়। এই রেশন দোকান থেকেই কেরোসিন তেলও (Kerosene) দেওয়া হয়। তবে এইবার জানা যাচ্ছে কেরোসিন বন্টনের জন্য নয়া নীতি চালু করেছে কেন্দ্র সরকার। কি বলছে সেই নীতি? নয়া নীতিতে বরাদ্দ বাড়ছে নাকি কমছে? জানতে আজকের প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
কেরোসিন বন্টন নিয়ে নয়া নীতি কেন্দ্রের
যেমনটা জানা যাচ্ছে এবার থেকে পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমে (PDS) কেরোসিন বরাদ্দ হবে শুধুমাত্র একটাই ক্যাটেগরিতে। রাজ্য নিজের মতো করে রান্না, আলো কিংবা বিশেষ প্রয়োজনের জন্য বরাদ্দ ভাগ করতে পারবে। আর বরাদ্দ নির্ধারিত হবে বিগত তিন বছরে সবচেয়ে ও ত্রৈমাসিকে সবচেয়ে বেশি তোলা তেলের পরিমাণের ভিত্তিতে। অবশ্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা বিশেষ পরিস্থিতে অতিরিক্ত বরাদ্দ করা হবে।
এছাড়াও বলে রাখা বলো, দেশের ২০টি রাজ্য ও কেন্দ্রসাধিত অঞ্চল ইতিমধ্যেই কেরোসিনের বরাদ্দ নেওয়া ছেড়ে দিয়েছে। কারণ সরকারি প্রকল্পের দৌলতে রান্নার জন্য এলপিজি গ্যাস এখন প্রতিটা ঘরে পৌঁছে গিয়েছে। আর রাতের বেলায় আলো জ্বালানোর জন্য বিদ্যুৎ রয়েছে।
বাংলার মানুষদের জন্য বরাদ্দ হবে কত?
এখন প্রশ্ন হল বাংলার ভাগে পর্বে কত বা যাদের কার্ডে কেরোসিন প্রাপ্য তারা কতটা পাবেন? এপর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গের জন্য পুরোনো বরাদ্দ বজায় রাখা হতে পারে। তবে বিগত কিছু বছরে বরাদ্দ কমানো হয়েছে। রাজ্যের খাদ্যদফতরের মতে, কেন্দ্রের থেকে বরাদ্দ করা তেল সবটা তোলা হয় না তা তাই ভবিষ্যতে নয়া নীতি চালু হলে বরাদ্দ আরো কমবে।
আরও পড়ুনঃ ফের পিছিয়ে গেল DA মামলা, গরমের ছুটির পর ডেট চাইল রাজ্য, কি জানালো সুপ্রিম কোর্ট?
এই প্রসঙ্গে কোরোসিন ডিলার সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অশোক গুপ্ত মুখ খুলেছেন। তার মতে, কেরোসিন তেলের দাম অত্যাধিক বেড়ে গিয়েছে যার ফলে গরিব ও অসহায় মানুষেরা কিনতেই পারছেন না। মার্চ ও এপ্রিল মাসে প্রতি লিটারে ৭ টাকা দাম কমানো হলেও এখনও দাম ৫৬ টাকা। যে কারণে আজও অনেকেই কাঠ কিংবা কয়লা ব্যবহার করেছেন রান্নার জন্য।