‘কর্মীরাই সিদ্ধান্ত নেবেন, আমাদের হাতে …’ বকেয়া DA নিয়ে ভয়ঙ্কর দাবি

DA Case Update

‘কর্মীরাই সিদ্ধান্ত নেবেন, আমাদের হাতে …’ বকেয়া DA নিয়ে ভয়ঙ্কর দাবি

Srijita Ghosh

Published on:

শ্রীজিতা ঘোষ, কলকাতা: ‘আগে তো রাজ্যের সঙ্গে খারাপ হয়েছেই, এবার আরও খারাপ হবে’ ঠিক এই ভাষাতেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হলেন (DA Case Update) পশ্চিমবঙ্গের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নেতা ভাস্কর ঘোষ (Bhaskar Ghosh)। রাজ্যের দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা মহার্ঘ ভাতা (DA) ইস্যুতে আন্দোলনকারী কর্মচারীদের পক্ষ থেকে এ যেন এক খোলা হুঁশিয়ারি।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ

ভারতের সর্বোচ্চ আদালত (Supreme Court) সম্প্রতি নির্দেশ দিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে (West Bengal Government) আগামী ২৭ জুনের মধ্যে ১০ লক্ষ সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতার কমপক্ষে ২৫ শতাংশ মেটাতে হবে। এই পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। এই নির্দেশের উপর ভিত্তি করেই এখন রাজ্যজুড়ে কর্মচারীদের মধ্যে যেমন উদ্বেগ বাড়ছে তেমনই প্রত্যাশা, আবার সরকারের আর্থিক অক্ষমতার কথা কমবেশি সকলেরই জানা, এমনই দাবি করছেন আন্দোলনরতকর্মচারীরা -মূলত এই দুই মেরুতেই এখন দ্বন্দ্ব চলছে।

ভাস্কর ঘোষের বড় হুঁশিয়ারি

এক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে ভাস্কর ঘোষ জানান, ‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানা প্রতিটি নাগরিকের কর্তব্য। রাজ্য সরকারও এর ব্যতিক্রম নয়। নির্দেশ মানা না হলে কর্মচারীরাই সিদ্ধান্ত নেবেন, তখন আর আমাদের হাতে কিছু থাকবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘DA (DA Case) মেটানো সময়সাপেক্ষ কাজ নয়—যদি সদিচ্ছা থাকে, এটা করা যায়। যদি ২৭ জুনের মধ্যে কোনও পদক্ষেপ না আসে, তাহলে পরবর্তী পদক্ষেপ ‘খুব খারাপ’ হবে।’

রাজ্য সরকারের আর্থিক সঙ্কট

সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) এই নির্দেশ কার্যকর করতে গিয়ে মমতা সরকার (Mamata Banerjee) কার্যত চাপে। সরকারের পক্ষে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি স্পষ্ট ভাষায় জানান, ‘এক লপ্তে ১০ হাজার কোটি টাকা দিলে সরকারের কোমর ভেঙে যাবে।’

বাস্তব আর্থিক চিত্র

মাত্র এক মাসে তৃতীয়বারের মতো রাজ্য সরকার RBI-র কাছে ৩,৫০০ কোটি টাকার ঋণ চেয়েছে। কোষাগারে নগদের সংকট। সরকার বলছে, এত বড় অঙ্কের অর্থ দিতে হলে অন্যান্য সামাজিক প্রকল্পে কাটছাঁট করতে হবে।

শুক্রবার, ২৭ জুন- ভাগ্য নির্ধারণের দিন

২৭ জুন ২০২৫, রথযাত্রার (Ratha Yatra) শুভ দিন, এবার সেই দিনেই নির্ধারিত হবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানবে কিনা রাজ্য সরকার এবং আন্দোলনকারীরা সাময়িক শান্ত থাকবেন, না কি বড়সড় কর্মসূচির পথে যাবেন।

একদিকে আইনি বাধ্যবাধকতা, অন্যদিকে আর্থিক অসহায়তা। তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে দশ লক্ষের বেশি কর্মচারী ও পেনশনভোগী। ভাস্কর ঘোষের (Bhaskar Ghosh) হুঁশিয়ারির পর রাজ্য প্রশাসনের উপর চাপ আরও বেড়েছে। এখন দেখার, শুক্রবারের মধ্যে সরকার কিছু অর্থ মেটায়, নাকি সংঘাত আরও গভীর হয়।

সঙ্গে থাকুন ➥