শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: বাংলার ঘরে ঘরে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ পাঠানোর ব্যবস্থা করা হল (Digha Jagannath Prasad)। খবর মিলেছে, রেশন দোকানেই বিতরণ করা হবে প্রভুর প্রসাদ। ইতিমধ্যেই এ প্রসঙ্গে বৈঠক করা হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার পুরসভার মিটিং হলে রেশন ডিলারদের সঙ্গে আলোচনা করে এই পরিকল্পনার কথা জানান মহকুমা শাসক অমিত সান্যাল শুক্লা।
মহকুমা শাসকের তরফে জানা গিয়েছে, প্রসাদ কীভাবে বিলি হবে তা নিয়ে রেশন ডিলারদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়ে গিয়েছে। আপাতত প্রথম দফায় খুব বেশি পরিমাণ বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। তবে, পুরসভা এলাকায় অনেকগুলো বাড়িতেই পৌঁছে দেওয়া যাবে। প্রায় ২৫ থেকে ২৬ হাজার বাড়িতে সহজেই প্রসাদ পৌঁছে দেওয়া হবে। আসলে, একসঙ্গে প্রচুর পরিমাণে প্রসাদ তৈরি করলে, এই গরমে তা নষ্ট হয়ে যেতে পরে। তাই প্রত্যেক বাসিন্দাই যাতে নিজেদের প্রাপ্যটি পর্যাপ্ত পরিমাণে পেতে পারে, তা মাথায় রেখেই ধাপে ধাপে প্রসাদ বিলির কথা ভাবা হয়েছে বলে খবর।
এ সিদ্ধান্তে অত্যন্ত খুশি রেশন ডিলাররাও। এক ডিলার জানান, জগন্নাথ দেবের প্রসাদ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব পেয়ে গর্বিত বোধ করছেন। প্রত্যেক মানুষ যাতে একসঙ্গে প্রসাদ পান, সেটাই নিশ্চিত করতে চান তাঁরা। দোকানে যথেষ্ট চাপ রয়েছে, তাও ভগবানের প্রসাদ বিতরণে কোনও খামতি রাখবেন না। অল্প অল্প করে প্রসাদ দেওয়া হবে। প্রসাদ নষ্টও হবে না।
আরও পড়ুন: সবাই চাইলেই কাটতে পারবেন না তৎকাল টিকিট! ১ জুলাই থেকে নয়া নিয়ম রেলের
কবে থেকে রেশন বিতরণ শুরু হবে?
রাজ্যের খাদ্য সরবরাহ দফতর থেকে নির্দেশ পেয়ে গিয়েছেন রেশন ডিলাররা। রেশন কার্ড না থাকলেও প্রসাদ পাবেন সকলে। রেশন দোকানে এলেই বিতরণ করা হবে প্রসাদ। যদিও মহকুমা শাসকের দাবি, এখনও আসেনি জগন্নাথ দেবের ছবি, ডালা সমেত প্যাকেজিংগুলো। তাই প্রসাদ বিতরণে দেরি হচ্ছে। বিলি কবে থেকে শুরু হবে তা আপাতত বলা সম্ভব নয়।জানিয়ে রাখি, হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার রেশন ডিলারদের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।