পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ আপনি কি ব্যবসা শুরু করতে চাইছেন? ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের নিয়ম অনুযায়ী আপনাকে শুরুতেই একটি ট্রেড লাইসেন্স করাতে হবে। তবে ট্রেড লাইসেন্স করাতে গিয়ে অনেকেই জানাচ্ছেন পুরসভায় বাড়তি টাকা চাওয়া হচ্ছে। তাই এবার এই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় বাতলে দিল খো`দ পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রাজ্যের তরফ থেকে একটি নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, যা দেখার পর খুশি ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা। কি জানানো হয়েছে নির্দেশিকায়? জানতেই প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে বড় ঘোষণা রাজ্যের | New Notification Regarding Trade License
সম্প্রতি রাজ্যের পুরো ও নগর উন্নয়ন দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ব্যবসা করার জন্য যে ট্রেড লাইসেন্স বানাতে হয় তার জন্য বা পুরনো ট্রেড লাইসেন্স পুনর্নবীকরণের জন্য নির্ধারিত ফি ছাড়া এক টাকাও বেশি নেওয়া যাবে না। এই নির্দেশিকা আসার পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন রাজ্যের হাজারো ব্যবসায়ীরা।
কিন্তু প্রশ্ন কেন এমন ঘোষণা এল? এর কারণ হলো কিছু পুরসভায় ট্রেড লাইসেন্স এর নির্ধারিত ফি ছাড়াও অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ আসছিল। তাই এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তাছাড়া বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে বাড়িতে বসেই ট্রেড লাইসেন্স আবেদন করা যেতে পারে। ফলে অতিরিক্ত চার্জ দেওয়ার কোন ঝামেলাই থাকছে না।
কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রী
সম্প্রতি আয়োজিত প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্রেড লাইসেন্সের জন্য বাড়তি টাকা আদায় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। এরপরই নয়া নির্দেশিকা জারি করা হয়। ইতিমধ্যে রাজ্যের প্রতিটি পুরসভায় সেই নির্দেশিকার বিজ্ঞপ্তি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে ও দ্রুত কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা চালানো যায় না। তাছাড়া ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাংক একাউন্ট থেকে শুরু করে ঋণ ও সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতেও ট্রেড লাইসেন্স বাধ্যতামূলক। তাই ব্যবসায়ীরা নিশ্চিন্তে নির্ধারিত ফি দিয়ে অনলাইনে মাধ্যমেই আবেদন করতে পারবেন বাড়তি কোনো টাকা নেওয়া হবে না। যদি কেউ বেশি টাকা চায় তাহলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কত টাকা লাগে ট্রেড লাইসেন্সের জন্য?
পুরসভা নির্বিশেষে ট্রেড লাইসেন্সের জন্য প্রদেয় ফি আলাদা হতে পারে। সাধারণ পুরসভা বা নোটিফায়েড এরিয়া ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল টাউনশিপের ক্ষেত্রে বছরে সর্বোচ্চ ১৫০০ টাকা ফি নেওয়া যেতে পারে। এছাড়া কলকাতা হাওড়া আসানসোল বিধাননগর চন্দননগর শিলিগুড়ি ও দুর্গাপুরের মতো জায়গায় সর্বোচ্চ ২৫০০ টাকা ফি নেওয়া যেতে পারে। নতুন আবেদন ও পুরনো আবেদন রিনিউ করার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
