কৃশানু ঘোষ, কলকাতাঃ প্রাক বর্ষা শুরু হতেই বাজারে ইলিশের (Hilsa Fish) খোঁজ শুরু করে দিয়েছেন অনেকেই। স্বাদে ভালো হলেও, বাজারে উপলব্ধ এখন সমস্ত ইলিশ মাছের সাইজই ছোট, যাকে বলে খোকা ইলিশ। বাজারে এখনও পর্যন্ত দেখা মেলেনি ভালো বড় মাছের। দোষ দেওয়া যায় না জেলেদেরও। কারণ, দিঘা-মোহনা জুড়ে প্রায় ৬১ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল মৎস্য শিকারের ক্ষেত্রে। তবে, এবার সুখবর মিলল ইলিশ প্রেমীদের জন্য।
নিষেধাজ্ঞা উঠতেই সুখবর!
বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ৬১ দিনের মৎস্য শিকারের ক্ষেত্রে যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা ছিল, তা ওঠার পরেই চাতক পাখির মতো সমুদ্রের দিকে চেয়ে থাকা জেলেদের প্রায় ২৭০০ লঞ্চ-ট্রলার, ছোট নৌকা ও ভুটভুটি ঝাঁপিয়ে পড়ে জলে। দীর্ঘ দিন পরে, দিঘা মোহনা জুড়ে জেলেদের আনাগোনা, ব্যস্ততার একই চেনা ছবি দেখা গেল পুনরায়। আর এই আনাগোনা শুরু হতেই, ফের চেনা ছন্দে ফিরল দিঘা মোহনা মৎস্য নিলাম কেন্দ্র।
একাধিক জেলে এবং মৎস্যজীবীদের মতে, এই ৬১ দিনের নিষেধাজ্ঞার পর শুধু তারা নয়, খুশি হবেন আপামর ভোজনরসিক বাঙালিরাও। কারণ প্রথম দিনেই তাদের জালে ধরা পড়েছে পমফ্রেট, চিংড়ি, ভোলার পাশাপাশি মাছের রাজা ইলিশও। ওই সমস্ত জেলে এবং মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন, শুধু ইলিশ উঠেছে তাই নয়, ভালো ওজনের ইলিশ উঠেছ এবার সমুদ্র থেকে। এমনকি তাদের অনুমান, চলতি বছরে মাছের যোগানও হবে চোখে পড়ার মতো।
জেলেদের মধ্যে অনেকেই নাকি প্রায় ২০ কেজি করে ইলিশ মাছ ধরেছেন। যার মধ্যে প্রায় প্রতিটি ইলিশের ওজন প্রায় এক কিলোর কাছাকাছি হবে বলে অনুমান করেছেন তাঁরা। একটি সংবাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শঙ্করপুরের বিশ্বজিৎ দাস নামক একজন মৎস্যজীবী, ১৮০০ গ্রাম ওজনের দুটি ইলিশ মাছ ২৭০০ টাকায় নিলামে কিনেছেন। অর্থাৎ, ৬১ দিনের নিষেধাজ্ঞার পর জেলে এবং মৎস্যজীবীদের দাবি, এবার ইলিশ খেয়ে সন্তুষ্ট হবে মধ্যবিত্ত বাঙালি।