পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ বাড়ির বিদ্যুৎ মিটার বদলে স্মার্ট মিটার (Smart Meter) বসলেই বিদ্যুৎ বিলের অঙ্ক বেড়ে যাচ্ছে, এমন অভিযোগ এখন রাজ্যের নানা প্রান্তে। অনেকেই জানিয়েছেন, তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে স্মার্ট মিটার বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে কেউ কেউ বড় অঙ্কের বিদ্যুৎ বিল পেয়ে চিন্তায় পড়েছেন।
স্মার্ট মিটার বসতেই বিল ১২,০০০!
এবার হুগলির ব্যান্ডেল কেওটা শরৎ পার্কের এক পরিবারের ভাগ্যে জুটেছে প্রায় বারো হাজার টাকার বিদ্যুৎ বিল। এই পরিবারের স্বামী সুশান্ত জোশেফ কর্মসূত্রে গুজরাটে থাকেন। স্ত্রী পম্পা জোশেফ দুই মেয়েকে নিয়ে কলকাতায় থাকেন। গত মাসে তাদের বাড়িতে স্মার্ট মিটার বসানো হয়। কিন্তু চলতি মাসে বিল আসার পর দেখা যায়, টাকার অঙ্ক প্রায় ১২ হাজার টাকা।
পম্পা জোশেফ জানান, “গত মঙ্গলবার বিল এসেছে। তাতে লেখা ১১ হাজার ৯৮৪ টাকা। আজ পর্যন্ত কোনও দিন এত বড় বিল আসেনি।” পরিবারের সদস্যদের এমন বিল দেখে ভয়ে গলা শুকিয়ে গেছে।
অভিযোগ ও তদন্তে
সুশান্ত জোশেফ গুজরাট থেকে মেল করে মুখ্যমন্ত্রী, বিদ্যুৎমন্ত্রী ও বিদ্যুৎ দফতরে অভিযোগ জানিয়েছেন। মেলে প্রশ্ন করা হয়েছে, কেন বিলে এমন অস্বাভাবিক অঙ্ক উঠল? পম্পা জোশেফ জানান, বিদ্যুৎ দফতর তদন্ত করতে এসেছিল, কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও উত্তর তারা পাননি।
হুগলি রিজিয়ন বিদ্যুৎ দফতরের রিজিওন্যাল ম্যানেজার মধুসূদন রায় জানান, স্মার্ট মিটার বসানোর পর ওই গ্রাহক ৫১৭ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ করেছেন। আগের মিটারে ৮৪৪ ইউনিট বাকি ছিল। এই দুটি মিলেই বর্তমান বিলের অঙ্ক বেড়েছে।
কি জানাচ্ছে বিদ্যুৎ দফতর?
বিদ্যুৎ দফতরের ম্যানেজার বলেন, “আমাদের কাছে আবেদন করলে আমরা বিল মেটানোর জন্য দু-তিন কিস্তির ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। তবে পরের বার থেকে এক মাসের বিদ্যুৎ খরচই বিলে আসবে। ফলে আর বিভ্রান্তি হবে না। স্মার্ট মিটার নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।”
তিনি আরও বলেন, নতুন স্মার্ট মিটার বসানোর পর কিছু গ্রাহককে পুরোনো বিল ও নতুন বিল একসঙ্গে পরিশোধ করতে হচ্ছে। এর ফলে বিলের অঙ্কটা বেশি হয়ে গিয়ে চিন্তার কারণ হচ্ছে। আগামী মাস থেকে বিল স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।