অভিনব পদ্ধতিতে কোটি কোটি টাকা খরচ বাঁচাল কলকাতা মেট্রো, জানুন কীভাবে

Kolkata Metro

অভিনব পদ্ধতিতে কোটি কোটি টাকা খরচ বাঁচাল কলকাতা মেট্রো, জানুন কীভাবে

Krishanu Ghosh

Published on:

কৃশানু ঘোষ, কলকাতাঃ কলকাতায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে মেট্রোর (Kolkata Metro) ভূমিকা অপরিহার্য। মেট্রোয় যাতায়াতের ক্ষেত্রে ভাড়া যেমন কম লাগে, তেমনি খুব কম সময়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলে যাওয়া যায়। তবে দৈনিক মেট্রো চালাতে খরচ হয় প্রচুর টাকা। কারণ মেট্রো চালাতে অনেক বিদ্যুৎ যেমন খরচ হয়, তেমনই মেট্রোর অত্যাধুনিক রেক, তা রক্ষণাবেক্ষণের জন্যও অনেকটা খরচ হয় মেট্রো কর্তৃপক্ষের। তবে, এবার সেই খরচ কমাতে বড়সড় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে মেট্রোর তরফ থেকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত।

কীভাবে বাঁচবে কোটি কোটি টাকা?

কলকাতা মেট্রোর তরফ থেকে এই খরচ বাঁচাতে রিজেনারেটিভ ব্রেকিং বৈশিষ্ট্য ব্যবহার করতে উদ্যোগী হয়েছে কর্তৃপক্ষ। এই বিষয়ে, ২২ জুন, রবিবার, একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য এবং জ্বালানি খরচ বাঁচানোর উদ্দেশ্যে মেট্রো রেকে টেকসই ব্রেকিং প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, বর্তমানে কলকাতা মেট্রো রিজেনারেটিভ ব্রেকিং বৈশিষ্ট্য সহ ৩৭টি রেক পরিচালনা করে। লন্ডন, টোকিও এবং নিউ ইয়র্কের মতো শহরে এই ধরনের রিজেনারেটিভ ব্রেকিং বিশিষ্ট রেক ব্যবহার করা হয়।

কী এই রিজেনারেটিভ ব্রেকিং?

এই প্রযুক্তি সম্পর্কে আরও বিশদে জানাতে গিয়ে ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “রিজেনারেটিভ প্রযুক্তিতে ব্রেক কষার পর, ট্রেনের বৈদ্যুতিক মোটরগুলি বিপরীত দিকে কাজ করে, যার ফলে ট্রেনের গতিশক্তি, চাকা বা ব্রেক শু গরম করার পরিবর্তে বৈদ্যুতিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।” ওই কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, “রিজেনারেটিভ ব্রেকিং গত আর্থিক বছরে ১৩,৫০০ টন কার্বন নির্গমন কমিয়েছে। যার ফলে ২০২৪-২৫ সালে ৩৭টি রেক ব্যবহার করে মোট ১.০৮ কোটি ইউনিট শক্তি পুনরুৎপাদিত হয়েছে, যা প্রায় ৮.২ কোটি টাকা শক্তি খরচ সাশ্রয় করেছে।“

এর পাশাপাশি ওই কর্মকর্তা সম্প্রতি কলকাতা মেট্রোর তরফ থেকে নেওয়া একটি নয়া পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেছেন। যেখানে ভারতীয় রেল প্রথমবারের জন্য অভিনব একটি উদ্যোগ নিয়েছে। এই উদ্যোগের অধীনে, কলকাতা মেট্রোয় ৪-মেগাওয়াট-এর ‘অ্যাডভান্সড কেমিক্যাল সেল (ACC)’ ব্যাটারি স্টোরেজ সিস্টেম স্থাপনের কাজ চলছে। ইতিমধ্যেই ব্যাটারিগুলি এসে পৌঁছেছে এবং ২০২৫ সালের জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে এই ব্যবস্থাটি কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সঙ্গে থাকুন ➥