১০ হাজার টাকা দেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার, নবান্ন স্কলারশিপে আবেদন করবেন কীভাবে? জানুন

Nabanna Scholarship

১০ হাজার টাকা দেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার, নবান্ন স্কলারশিপে আবেদন করবেন কীভাবে? জানুন

Published on:

কৃশানু ঘোষ, কলকাতাঃ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য চালু করা হয়েছে একাধিক সুবিধাজনক প্রকল্প। যার মধ্যে রয়েছে কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, শিক্ষাশ্রী, যোগ্যশ্রী সহ একাধিক বিভিন্ন প্রকল্প। তবে, রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীদের যাতে অর্থের অভাবে উচ্চশিক্ষা বন্ধ না হয়ে যায় এবার সেই উদ্দেশ্যে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হল এক নতুন পদক্ষেপ, চালু করা হল এক নতুন স্কলারশিপ।

অর্থাভাবে উচ্চ শিক্ষা করতে পারে না এমন ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এবার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে চালু করা হল নবান্ন স্কলারশিপ (Nabanna Scholarship)। রাজ্য সরকারের নয়া এই স্কলারশিপের অধীনে কারা লাভবান হবেন, কীভাবে লাভবান হবেন, এই সমস্ত বিষয়ে জানার আগে চলুন জেনে নেওয়া যাক কী এই নবান্ন স্কলারশিপ?

নবান্ন স্কলারশিপ | Nabanna Scholarship 2025

রাজ্যের মেধাবী এবং আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিক সাহায্য করার উদ্দেশ্যে পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের ত্রান তহবিল থেকে সরাসরি অর্থ সাহায্য প্রদান করে, সেটাই নবান্ন স্কলারশিপ হিসাবে পরিচিত, তবে আদতে এটির নাম Chief Minister’s Relief Fund Scholarship। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই স্কলারশিপের অন্যান্য খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে।

কারা নবান্ন স্কলারশিপে আবেদনের যোগ্য?

এই স্কলারশিপে আবেদন করার জন্য আবেদনকারীকে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। এছাড়াও, আবেদনকারীকে অবশ্যই একাদশ শ্রেণি, স্নাতক বা স্নাতকোত্তর কোর্সে পড়াশোনা করতে হবে। এর পাশাপাশি আবেদনকারীর মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, এবং স্নাতক স্তরে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে। আবেদনকারীর পরিবারের বার্ষিক আয় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মধ্যে হতে হবে।

নবান্ন স্কলারশিপে আবেদন করার প্রক্রিয়া

যেহেতু এই স্কলারশিপে অনলাইনে আবেদন করা যায়, তাই আপনার প্রয়োজন শক্তিশালী ইন্টারনেট সংযোগ সহ কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপ, নচেৎ আপনি সাইবার ক্যাফেতে গিয়েও এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারেন। আপনাকে প্রথমে নবান্নের অফিসিয়াল পোর্টালে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এরপর লগইন করে ওই স্কলারশিপের আবেদন ফর্মটি মনোযোগ সহকারে পূরণ করতে হবে।

আবেদন ফর্ম পূরণ করার পর আপনাকে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ডকুমেন্ট আপলোড করতে হবে, যার মধ্যে রয়েছে, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের শেষ পরীক্ষার মার্কশীট, আধার কার্ড, রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের প্রথম পাতার জেরক্স, পরিবারের বার্ষিক আয়ের সার্টিফিকেট, সংসদের রেকমেন্ডেশন, নিজের নাম এবং স্বাক্ষর সহ স্বঘোষণাপত্র, মোবাইল নম্বর এবং ইমেল আইডি।

প্রয়োজনীয় এই ডকুমেন্টগুলি আপলোড করুন, এবং তারপর সবশেষে ফর্মটি সাবমিট করুন। সাবমিট করার পর স্ক্রিনে দেখানো রেফারেন্স নম্বরটি কোথাও লিখে রাখুন, ছবি তুলে রাখুন কিংবা সেভ করে রাখুন। আপনার আবেদন মঞ্জুর হলেই আপনি এই স্কলারশিপের আওতায় ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত স্কলারশিপ পেয়ে যাবেন।

আবেদনের কী কোন সময়সীমা বা তারিখ রয়েছে?

অনেকেই হয়তো ভাবছেন এই স্কলারশিপের আবেদন কবে থেকে শুরু হয়, কিংবা এর কোন সময়সীমা রয়েছে কিনা! সেক্ষেত্রে বলা যায়, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে এই স্কলারশিপে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে। তবে আবেদনের কোন শেষ তারিখ এখনও পর্যন্ত জানানো হয়নি। তাই, এই মর্মে প্রকাশিত সরকারী বিভিন্ন নির্দেশিকা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকুন।

সঙ্গে থাকুন ➥