শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল (School Closure)। অতিরিক্ত গরমের দাপটে পড়ুয়াদের সুস্থ রাখতে এই পদক্ষেপ করেছে শিক্ষা দফতর। পড়ুয়াদের সুরক্ষিত রাখতে কর্তৃপক্ষ এই পদক্ষেপ নিলেও, শিক্ষকদের জন্যও কি এই একই নিয়ম থাকবে! উঠেছে প্রশ্ন। জেগেছে বিভ্রান্তি। এমনকি ছুটি নিয়ে শিক্ষা দফতরের তরফে যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, সেই নির্দেশিকায় শিক্ষকদের স্কুল আসা বা যাওয়া নিয়ে স্পষ্ট কিছু উল্লেখ নেই।
স্কুলে কখন আসবেন, কখন যাবেন তা নিয়ে দিনভর ধন্দে ছিলেন রাজ্যের শিক্ষকরা। অবশেষে বিভ্রান্তি দূর হল শিক্ষা দফতরের তরফে। জানা গিয়েছে, শিক্ষকদের ছুটি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। কারণ তাঁদের পড়ুয়াদের ক্লাস নেওয়া ছাড়াও নির্দিষ্ট সময়ে স্কুলে ভর্তি প্রক্রিয়া, হোলিস্টিক রিপোর্ট কার্ড তৈরি করা, স্কুলের সবদিক নজরে রাখার মতো যাবতীয় প্রশাসনিক কাজ করতে হয়। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের ছুটি দিলে বিষয়টা কিছুটা ঠিক হবে না বলেই দাবি শিক্ষামহল।
এ প্রসঙ্গে, যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষকের দাবি, পড়াশোনা বন্ধ রাখতে বললেও প্রশাসনিক কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ আসেনি। তাই শিক্ষকদের বা শিক্ষাকর্মীদের ছুটি দেওয়া হবে কি না, তা জানা নেই। এ নিয়ে দফতরের স্পষ্ট নির্দেশিকা পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। এদিকে সরকারি স্কুলে ছুটি পড়লেও, বেসরকারি স্কুল ছুটি দেবে কি দেবে না, সেটা তাদের নিজস্ব বিষয়। তবুও, পড়ুয়াদের স্বার্থে শিক্ষা দফতরের তরফে সিবিএসই এবং আইসিএসই বোর্ডের স্কুলগুলি বন্ধ রাখার আর্জিও জানানো হয়েছে ইতিমধ্যেই।
আরও পড়ুন: বড় ঘোষণা, একজোটে কাজ করবে SBI, PNB, BOB-সহ ৫ সরকারি ব্যাঙ্ক!
উত্তরবঙ্গে বর্ষা এলেও দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির দেখা নেই। প্রচন্ড গরম বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহে হাঁসফাঁস পরিস্থিতি। নাজেহাল পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের দিকে তাই তাকিয়ে, ১৩ এবং ১৪ জুন, স্কুলে বন্ধ রাখার ঘোষণা করেছে রাজ্য। রবিবার অর্থাৎ ১৫ জুন এমনিতেই স্কুল বন্ধ, তাই এবার সরাসরি ১৬ জুন স্কুল খুলবে বলে জানা গিয়েছে।