কৃশানু ঘোষ, কলকাতাঃ বড়সড় বদল আসতে চলেছে শিয়ালদহ (Sealdah) ও কলকাতা স্টেশন থেকে একটি নির্দিষ্ট আপ-ডাউন লাইনের ট্রেনে। চলতি মাস থেকেই এই বিশেষ ট্রেনের সুবিধা পাবেন না যাত্রীরা। কোন লাইনের ট্রেনে হচ্ছে এই পরিবর্তন? কোন কোন বিশেষ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন যাত্রীরা? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
কোন লাইনের ট্রেনে বন্ধ হচ্ছে বিশেষ সুবিধা?
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গিয়েছে, শিয়ালদহ ও কলকাতা স্টেশন থেকে দৈনিক লালগোলা (Lalgola) পর্যন্ত আপ ও ডাউন মিলিয়ে চলাচলকারী দৈনিক ১০ জোড়া মেমু ট্রেনে বড়সড় বদল আসতে চলেছে। যার মধ্যে ৯ জোড়া ট্রেন শিয়ালদহ থেকে লালাগোলা, এবং ১ জোড়া ট্রেন কলকাতা থেকে লালগোলা পর্যন্ত চলাচল করে।
কবে থেকে পাওয়া যাবে না বিশেষ সুবিধা?
জানা গিয়েছে, এতদিন ধরে এই লাইনে যে মেমু ট্রেন অর্থাৎ ১২ কোচের ট্রেন চলত, এবার থেকে চরিত্রগত পরিবর্তন আসতে চলেছে সেই সমস্ত ট্রেনে। কিন্তু পর্যাপ্ত মেমু রেক না থাকায় আগামী ৪ জুন থেকে এই ট্রেনটি পরিবর্তে ইএমইউ রেক (Sealdah-Lalgola EMU Rake) চালানো হবে।
কোন বিশেষ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন যাত্রীরা?
মেমু ট্রেনের প্রতিটি বগিতে যাত্রীদের জন্য ছিল শৌচাগারের মতো বিশেষ সুবিধা। তবে মেমু ট্রেনের পরিবর্তে ইএমইউ রেকগুলিতে আলাদা করে শৌচাগারের ব্যবস্থা নেই। এই অবস্থায় যাত্রীরা যে অসুবিধার সম্মুখীন হবে সে কথা বলাই বাহুল্য।
যাত্রী দুর্ভোগ কমাতে নেওয়া হয়েছে অভিনব সিদ্ধান্ত
তবে যাত্রীদের যাতে কোন অসুবিধার সম্মুখীন না হতে হয় সে জন্য শিয়ালদহ ডিভিশনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বিশেষ সিদ্ধান্ত। বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ৪ জুন থেকে শিয়ালদহ ও কলকাতা স্টেশন থেকে লালগোলা পর্যন্ত আপ-ডাউনের এই যাত্রা বিভক্ত হবে কৃষ্ণনগরে, যেখানে ইএমইউ ট্রেনগুলি ৩০ মিনিটের জন্য দাঁড়াবে।
শুধু তাই নয়, ৩০ মিনিটের জন্য কৃষ্ণনগর স্টেশনের একটি প্ল্যাটফর্ম ও লাইন শুধুমাত্র লালগোলার যাত্রীদের জন্য বরাদ্দ করা হবে, দেওয়া হবে বাড়তি কর্মীর ব্যবস্থা। এখানে যাত্রীরা খাওয়া-দাওয়া কিংবা শৌচকর্মের মতো কাজগুলি সেরে নিতে পারবেন। জানা গিয়েছে, এই অভিনব পদ্ধতির ফলে বাড়তে পারে রেলের বাড়তি খরচ, দেখা দিতে পারে পরিচালনগত বিভিন্ন সমস্যা ও ক্ষয় হতে পারে অনেক মানবসম্পদ।
কেন এই সিদ্ধান্ত?
বিভিন্ন প্রতিবেদন মারফত জানা গিয়েছে, ১০ জোড়া মেমু রেকের মধ্যে কুম্ভ মেলার জন্য ৪ জোড়া মেমু নেওয়া হলেও, সেগুলি আর ফেরানো হয়নি। একটি মেমু চলাচলের অবস্থায় নেই। একটি মেমু শিয়ালদহ থেকে সিউড়ি, এবং দু’টি শিয়ালদহ-গোড্ডার মধ্যে চলাচল করছে।