India’s Most Expensive Film: ভারতীয় ফিল্মি ইন্ডাস্ট্রিকে(Indian Cinema) চলচ্চিত্রের বাজার বলা হয়। বাংলা, হিন্দি, তামিল, তেলেগু, মালায়লাম, ওড়িয়া, মারাঠি এরকম একাধিক ভাষায় ছবি মুক্তি পায় এখানে। প্রতিবছর প্রায় ২ হাজারেরও বেশি ছবি তৈরি হয় ভারতে। গত এক দশকে এই ইন্ডাস্ট্রির ব্যাপ্তি আরো বেড়েছে। বেড়েছে ছবি নির্মাণের খরচ। তবু সম্প্রতি বেশির ভাগ বড় বাজেট(Big Budget) ছবিই দর্শকের আগ্রহ তৈরি করছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বড় বাজেটের ছবিতে নির্মাতাদের খরচ অনেকটাই বেশি। এইসব ছবিতে অভিনেতাদের পারিশ্রমিকও বেশি। তার সাথে যোগ হয় পোশাকসজ্জা, সেট, ভিএফএক্স এবং অ্যাকশন দৃশ্যের খরচ। এইসব ছবি বক্স অফিসে ভাল ইনিংস না খেললে লোকসানের খাতায় নাম লেখাতে হয় অনেক সময়।
তবে জানেন কি ভারতীয় ফিল্মি ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ছবি(India’s Most Expensive Film) কোনটি? প্রশ্নটা শুনলেই বেশিরভাগ মানুষের মাথায় আসবে ‘আদিপুরুষ’-এর কথা। তার আগে মুক্তি পাওয়া ‘বাহুবলী’(২০১৭)-র কথা তুলবেন কেউ। কারো আবার ‘ব্রহ্মাস্ত্র’(২০২২), ‘কেজিএফ ২’(২০২২), ‘ধুম ৩’(২০১৩) ইত্যাদি ছবির কথাও মনে পড়তে পারে।
তবে জানিয়ে রাখি, এগুলি কোনোটিই নয়। এখনও পর্যন্ত নাগ অশ্বিন পরিচালিত ‘প্রজেক্ট কে’ ভারতের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ছবির তালিকায় এগিয়ে রয়েছে। প্রভাস, অমিতাভ বচ্চন, দীপিকা পাড়ুকোন ও দিশা পাটানি অভিনীত এই ছবিটি এখনও পর্যন্ত ভারতের সর্বোচ্চ ব্যয়বহুল ছবির তালিকায় নাম লিখিয়েছে।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ছবিটির বাজেট হতে চলেছে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা। পারিশ্রমিক হিসেবে প্রভাস নিয়েছেন প্রায় ১৫০ কোটি টাকা। কমল হাসান নিয়েছেন ২০ কোটি টাকা। যদিও দীপিকা বা অমিতাভ বচ্চনের পারিশ্রমিক সম্পর্কে কোন তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। তবে ছবির বাজেটের এক-চতুর্থাংশ প্রভাসের জন্যই ব্যয় করা হয়েছে সেটা তো দেখতেই পাচ্ছেন।