এসেই বাজিমাত করেছে স্টার জলসার নতুন ধারাবাহিক ‘মেয়েবেলা’ (Meyebela)। দূর্দান্ত এগোচ্ছে সিরিয়ালটি (Bengali Serial)। নেটিজেনদের মতে, গল্পের গতি একটু স্লো হলেও প্লট কিন্তু দূর্দান্ত। ব্যবসায়িক সমস্যা কীভাবে পারিবারিক সমস্যা হয়ে যেতে পারে সেটাই দেখানো হচ্ছে এই সিরিয়ালে।
যারা নিয়মিত ধারাবাহিকটি দেখছেন তারা তো জানেনই যে, একটা বিরাট সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে ডোডো। আর সেই সমস্যা থেকে বাঁচতে মৌ-কে বিয়ে করতে রাজি হয়েছে সে। এদিকে মৌ ঠিক করেছে সে, ডোডোকে তার অতীত সম্পর্কে না জানিয়ে কিছুতেই বিয়ে করবেনা।
মৌয়ের অতীত, অর্থাৎ অমিতাভ। এর আগে দু একবার অমিতাভর কথা উঠলেও তা পুরোপুরি পরিষ্কার নয় দর্শকদের কাছে। অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছিল যে, মৌকে যখন তার মশাই ঘাড় থেকে নামিয়েই ফেলতে চায় তখন তার বিয়ে নিয়ে তো আপত্তি থাকার কথা নয়। তাহলে কে বাধ সেধেছিল মৌ আর অমিতাভর মধ্যে।
এখানেই রয়েছে একটা বড় টুইস্ট। প্রথমেই জানিয়ে দিই অমিতাভ আর বেঁচে নেই। হ্যাঁ, শুনতে অবাক লাগলেও নির্মাতারা এভাবেই গল্প সাজিয়েছেন। আজকের পর্বেই আপনারা দেখতে পাবেন মৌয়ের জীবনের কিছু পুরোনো ঘটনা। দেখতে পাবেন মৌয়ের বিয়ের দিনের গল্প।
যেখানে তারা বাড়ির কাউকে না জানিয়ে একে অপরকে স্বামী-স্ত্রী বলে মেনে নেয়। কিন্তু ভাগ্যের এমনই লীলাখেলা যে, বিয়ের দিনই বুকে ব্যাথায় কাতর হয়ে পড়ে অমিতাভ। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যায় সে। খুব সম্ভবত হার্ট অ্যাটাক হয় তার।
এদিকে অমিতাভর মারা যাওয়ার পর তার মা আর মৌকে তার বাড়িতে নিয়ে যেতে চাননি। তার কথায়, মৌয়ের গোটা জীবন এখনও পড়ে আছে। তাই এই দু ঘন্টার বিয়ে এবং অমিতাভর শেষ স্মৃতি মৌ যত তাড়াতাড়ি ভুলতে পারবে ততই মঙ্গল। তাই মৌকে আবার তার মশাইয়ের কাছেই ফিরে আসতে হয়। হিসেব মত মৌ একজন বিধবা। এখন মানি এই কথাগুলি ডোডোর কাছে বেমালুম চেপে গেছেন। এই বিষয়টা নিয়ে পরে কোনো ঝড় উঠবে কি না সেটা তো সময়ই বলবে।