বলিউড,বিনোদন,গসিপ,আলিয়া ভাট,রণবীর কাপুর,ব্রহ্মাস্ত্র,করণ জোহর,Bollywood,Entertainment,Gossip,Alia Bhatt,Ranbir Kapoor,Brahmastra,Karan Johar

Moumita

মিথ্যে তথ্য প্রকাশ প্রযোজকের! ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ ছবির বক্স অফিস কালেকশন নিয়ে কারচুপি করছেন করণ! জানুন আসল সত্যি

আলিয়া-রণবীর অভিনীত ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ নাকি দারুন ব্যবসা করেছে বক্স অফিসে। নানা প্রতিবেদনে নানা খবর প্রকাশিত হচ্ছে এই নিয়ে। কিন্তু ছবির আসল কালেকশন ঠিক কত? ইতিমধ্যেই এই বিষয়টা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। ব্রহ্মাস্ত্র’র কালেকশন নিয়ে গেম খেলছে করণ জোহর, এমনটাই দাবি কঙ্গনার।

   

জানিয়ে রাখি, ভারত আর পশ্চিমা দেশগুলির মধ্যে বক্স অফিস কালেকশন নির্ণয় করার একাধিক পদ্ধতি রয়েছে। আর সেই কারণেই নানা ধরনের কালেকশন সামনে আসছে। হিন্দি, তামিল, তেলেগু, কন্নড় এবং মালয়ালম মোট ৫ টি ভাষায় মুক্তি পেয়েছে অয়ন মুখার্জি পরিচালিত এই ছবি। একাধিক ভাষায় মুক্তি পাওয়াতেও ঘেঁটে যাচ্ছে ছবির কালেকশনের অঙ্ক।

প্রসঙ্গত, করণের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার সময় কঙ্গনা বলেছিলেন যে, করণ শুধুমাত্র ছবির গ্রস কালেকশনের ডেটা দিচ্ছে। নেট আয়ের কোনো ডেটা কেন দিচ্ছেনা? এখন আমরা আপনাকে বলি, গ্রস আয় আর নেট আয়ের মধ্যে পার্থক্য কোথায়? প্রথমত, গ্রস আয় বলতে বোঝায় কোনো ছবির টিকিট বিক্রয় হওয়ার পর মোট যে টাকাটা আয় হয় সেটা।

আর নেট আয়ের অর্থ হলো, এন্টারটেনমেন্ট ট্যাক্স) কেটে নেওয়ার পর যে টাকা কোনও ছবি আয় করে সেটা। এখন গ্রস ফিগার সবসময় নেট ফিগারের চেয়ে বেশি হয়। যেহেতু রাজ্য ভেদে ট্যাক্সের পরিমাণ আলাদা, তাই কোনও ছবির গ্রস ফিগার সারা দেশে এক হলেও নেট ফিগারের বিরাট মাত্রায় হেরফের হতে পারে। এছাড়াও বক্স অফিসের নেট ফিগারে ডিস্ট্রিবিউটারদের শেয়ার যুক্ত থাকে। সাথে যারা থিয়েটা চালাচ্ছেন তারাও একটা লভ্যাংশ পান।

এখন আমরা যদি ব্রহ্মাস্ত্রের কথা বলি তাহলে, এই ছবির বিশ্বব্যাপী গ্রস কালেকশন ২২৫ কোটি টাকা মানে এই নয় যে, ছবির প্রযোজক ২২৫ কোটি টাকা আয় করেছে। তাই ছবিটিকে ব্লকবাস্টার তকমা পেতে হলে এখনও অনেক পথ চলতে হবে। বলিউড ঘনিষ্ঠ এক সূত্র মারফত পাওয়া খবর অনুযায়ী, ‘প্রযোজক সবসময়ই চায় সেরা নম্বরটা দেখাতে, যাতে দর্শক আকৃষ্ট হয়। যে যতই কারসাজি করুক, একটা মার্জিনের বাইরে করা সম্ভবপর নয়, আর সেটা ৫-১০%।’

সাম্প্রতিক মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘ব্রহ্মাস্ত্র’-এর ক্ষেত্রেও এটাই হচ্ছে কি না সেটা সময় বলবে। অবশ্য ছবি নিয়ে যেরকম বিতর্ক তৈরি হয়েছিলো তাতে করে এর কালেকশন নিয়ে একটা ধোঁয়াশা থেকেই যায় মনে। তবে ছবির কালেকশন নিয়ে একটু আধটু পার্থক্য থেকে থাকলেও চিন্তা করার কারণ নেই। বিশ্বস্ত সোর্স গুলি ফলো করলেই আসল কালেকশন সামনে চলে আসবে।