নিউজশর্ট ডেস্কঃ শাহরুখ খানের(Shahrukh Khan) আলাদা করে কোনো পরিচয় দেওয়ার প্রয়োজন নেই। নিজের দীর্ঘ ৩০ বছরের কেরিয়ারে দেশ ও বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা তার কোটি কোটি ভক্তদের দিয়ে গেছেন নিখাদ বিনোদন। ১৯৯২ সালে শুরু হয় তার চলচ্চিত্র জীবন। তবে খুব কম জনই জানেন যে শাহরুখ এর আগে কাজ করেছেন ‘ফৌজি’ ধারাবাহিকে। আজ এই প্রতিবেদনে শাহরুখ সম্পর্কে এরকমই কিছু জানা অজানা তথ্য জানাবো।
শাহরুখের প্রথম ছবি ‘দিওয়ানা’। এই ছবিতে দিব্যা ভারতী ও ঋষি কাপুরের মতো দুই বড় অভিনেতার সঙ্গে কাজ করেছিলেন তিনি। ঋষি-দিব্যা-শাহরুখের এই ছবিটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো সেই সময়। এরপর শাহরুখ অভিনয় করেন ‘দিল আশনা হ্যায়’ ছবিতে যার পরিচালনায় ছিলেন প্রবীণা তথা এভারগ্রীন অভিনেত্রী হেমা মালিনী। শাহরুখ ছাড়াও ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা গিয়েছিলো দিব্যা ভারতী, ডিম্পল কাপাডিয়া, মিঠুন চক্রবর্তী, জিতেন্দ্র, অমৃতা সিং, সোনু ওয়ালিয়া প্রমুখ বিশিষ্ট তারকাদের।
বহুদিন আগের এক সাক্ষাৎকারে শাহরুখ বলেছিলেন যে এই ছবির শুটিং চলাকালীন হেমা মালিনী একবার শাহরুখের চুল আঁচড়ে দিয়েছিলেন, আর তখনই শাহরুখ মনস্থির করে ফেলেন যে, তিনি কখোনোই মুম্বাই ছাড়বেন না। হেমা মালিনী সম্পর্কে শাহরুখ বলেছিলেন, “শুটিং চলাকালীন, তিনি আমাকে বলেছিলেন যে আপনাকে মেকআপ করতে হবে এবং এই সম্পর্কিত সবকিছু করতে হবে। আমি তাকে বলেছিলাম যে আমি দিল্লির ছেলে এবং আমি মেকআপ সম্পর্কে তেমন কিছু জানি না। তারপর হেমা জি আমার কাছে এসে চুল আঁচড়ে দেন।”
আরও পড়ুন: Shahrukh Khan: শাহরুখ খানের ফোন নম্বর কত? ভক্তদের নম্বর জানালেন খোদ বাদশা
তবে শুধু চুল আঁচড়ানো নয়, একবার বকাও খেয়েছিলেন হেমা মালিনীর কাছে। একদিন হেমা মালিনীর শাহরুখকে নিজের মেকআপ রুমে ডেকে আনেন। এরপর তিনি বলেন, “তুমি আমার ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমকে কী বলেছ?” এইটা শুনে একপ্রকার ভয়ে কাঁপতে থাকেন শাহরুখ। এর কারণ সেই একটি সাক্ষাৎকারে শিরোনাম হয়েছিল, ‘হেমা মালিনী পরিচালনা করতে পারেন না’। এই কথাটি শাহরুখের মুখে কথাটা বসানো হয়েছিল।
এই প্রসঙ্গে শাহরুখ বলেন, ‘এরপর থেকে আমি বেশ ভয়ে ছিলাম। মনে-মনে ভেবেছিলাম, আমাকে দেখেই বকুনি দেবেন হিমাজি। তাই তিনি যখন আমাকে ডেকেছিলেন, খুব ভয় পেয়েছিলাম। ভেবেছিলাম, কেন সময়টা শেষ হচ্ছে না। লজ্জায় লাল হয়ে আমি মাটির মধ্যে ঢুকে গিয়েছিলাম।’
এরপর হেমা মালিনী সেদিন শাহরুখকে বলেছিলেন, ‘তুমি আমার ব্যাপারে এসব কী বলেছ। হয়তো আমি খুব বিখ্যাত। না হলে তুমি। আমার সময় ফুরিয়ে এসেছে। তা হলে তুমিই বিখ্যাত। এখন যাও কাজ করো।’ এরপরেই হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন শাহরুখ।