নিউজ শর্ট ডেস্ক: বাঙালি মানেই ভোজন রসিক। তাই রসনা তৃপ্তিতে বাঙালির জুড়ি মেলা ভার। তাই এখনকার দিনে গ্রাহক টানতে বিভিন্ন রেস্তোরাঁ (Restaurant) গুলোতেও বজায় রাখা হয়েছে বাঙালি ঐতিহ্য। থালা সাজানো হচ্ছে হারিয়ে যাওয়া নানান পদের বাঙালি রান্নায় (Bengali Food)। কিন্তু এই মূল্যবৃদ্ধির বাজারে রেস্তোরাঁয় যাওয়া মানেই তো বিরাট খরচ।
কিন্তু জানলে অবাক হবেন এই মূল্য বৃদ্ধির বাজারেও মাত্র ৯৯ টাকাতেই ১৩ রকমের পদ দিয়ে থালা সাজিয়ে দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয় বাঙালির হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে এই সমস্ত খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে কাঁসার থালাতেই। কিন্তু মাত্র ৯৯ টাকাতেই ১৩ রকমের খাবার! কীভাবে সম্ভব? কোন রেস্তোরাঁ দিচ্ছে এতো কম দামের (Cheap Price) খাবার?
শুনতে অবাক লাগলেও আজকের দিনেও এত কম টাকায় ১৩ রকমের খাবারের দিয়ে থালা সাজিয়ে দিচ্ছে উত্তর দিনাজপুরের একটি রেস্তোরাঁ। উত্তর দিনাজপুরের বিখ্যাত সুগন্ধি তুলাইপাঞ্জি চালের ভাত, স্যালাড, দুই রকম পাপড় ভাজা, ইলিশ মাছের মাথা দিয়ে কচু শাক, পটল পোস্ত, মাছের মাথা দিয়ে ডাল, শুক্ত, মোচার ডালনা,পনিরের তরকারি, চাটনি, কিংবা মিষ্টি পায়েস কি নেই সেই থালিতে!
কিন্তু প্রশ্ন হল এখনকার দিনে বাজারে জিনিসপত্র ছুঁলেই যখন আগুন, সেখানে উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের সুকান্ত মোড়ে মাত্র ৯৯ টাকায় ১৩ রকমের খাবার দেওয়া হচ্ছে কীভাবে? এত কম মূল্যে খাবার দিয়ে তাদের লাভ-ই বা হয় কত টাকা? এটাই এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: ৮০ টাকায় আনলিমিটেড! স্বাদে-গন্ধে ‘দাদা বৌদি’কেও টেক্কা দিচ্ছে ‘কালাচাঁদ ঠাকুরের বিরিয়ানি
জানা যাচ্ছে উত্তর দিনাজপুরের এই রেস্তোরাঁ প্রতিদিন দুপুর ১২-টা থেকে বিকেল ৪-টে পর্যন্ত খোলা থাকে। গ্রাহকদের প্রত্যেকের দাবি এখানকার এই ১৩ পদের মধ্যে প্রত্যেকটিই নাকি খুবই সুস্বাদু খেতে হয়। তাই প্রতিনিয়ত এই দোকানে গ্রাহকদের ভিড় বেড়েই চলেছে।
দোকানের মালিক জানিয়েছেন এই এলাকাটি মূলত কৃষি প্রধান এলাকা। এছাড়াও এখানে প্রায়ই আনাগোনা লেগে থাকে দিন আনা দিন খাওয়া এবং শ্রমজীবী মানুষদের। যাদের কাছে বড় রেস্তোরাঁয় গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করা এক প্রকার বিলাসিতা। তাই তাদের কথা ভেবেই প্রধানত এই সমস্ত রেস্তোরাঁয় মাত্র ৯৯ টাকায় পেট ভরে দুপুরের খাবারের আয়োজন করা হয়ে থাকে।