পার্থ মান্নাঃ কিছুদিন আগেই জানানো হয়েছিল যে কলকাতার রাস্তায় বাসের সংখ্যা একধাক্কায় অনেকটাই কমে যেতে পারে। এর পিছনে মূল কারণ ছিল পরিবেশ রক্ষার্থে হাইকোর্টের তরফে দেওয়া একটি রায়। যার কারণে ১৫ বছরের পুরোনো কোনো বাস কলকাতার বুকে চালানো যাবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই নিয়মের জেরেই নাকি ২৫০০ মত বেসরকারি বাস উধাও হয়ে যেতে পারে রাস্তা থেকে। স্বাভাবিকভাবেই এর ফলে নাজেহাল হতে হবে নিত্যযাত্রীদের। কারণ হাওড়া হোক বা কলকাতা ঝটপট একজায়গা থেকে অন্যত্র যাওয়ার জন্য সবচেয়ে সহজ মাধ্যম আজও বাস।
পরিবহণ দফতরের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা হাইকোর্টে!
রাজ্য পরিবহণ দফতরের নয়া নির্দেশিকায় জানানো হয়েছিল ১৫ বছরের পুরোনো বাসগুলিকে বাতিল করে দেওয়া হবে। অর্থাৎ সেই সমস্ত বাস আর রাস্তায় চলাচল করতে পারবেন না। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ বেসরকারি বাস মালিকেরা। তাদের মতে, করোনা চলাকালীন প্রায় ২ বছর বাস চলাচলের পরিমাণ প্রায় বন্ধ বা কম ছিল তাই অন্তত দুবছরের জন্য বাড়ানো হোক বাসগুলির মেয়াদ।
রাজ্যই নেবে সিদ্ধান্ত জানাল হাইকোর্ট
গতকাল অর্থাৎ ৪ঠা নভেম্বর এই মামলার রায় ঘোষণার দিন ছিল হাইকোর্টে। তাই সকলেই এই মামলার শুনানির দিকে তাকিয়ে ছিলেন। তবে পরিষ্কার করে কোনো সিদ্ধান্তই নেওয়া গেল না। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায় জানান, মামলাকারীদের আবেদন অনুযায়ী বাসের মেয়াদ ১৫ বছরের জায়গায় ১৭ বছর করা হবে কি না সেটা রাজ্যকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এর জন্য চার সপ্তাহের সময় দেওয়া হয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে। অর্থাৎ এবার রাজ্য যদি বলে আরও দুবছর বাড়বে বাসের লাইসেন্স তাহলেই বাস চলতে পারবে আর যদি সেটা না হয় তাহলে রাস্তা থেকে কয়েক হাজার বাস উধাও হয়ে যাবে।
এখন যাত্রীদের অনেকেই চিন্তিত যদি ১৫ বছরের পুরোনো বাসের লাইসেন্স বাতিল ঘোষণা করা হয় তাহলে আসন্ন মার্চ মাসে রীতিমত খাঁ খাঁ করবে হাওড়া ও কলকাতার রাস্তা। যার ফল ভুগতে হবে প্রতিদিন কর্মসূত্রে ও ব্যক্তিগত প্রয়োজনে আসা লক্ষ লক্ষ মানুষকে। এখন অপেক্ষা রাজ্যের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত আসার, তাহলেই ছবিটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।