পার্থ মান্নাঃ মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যে তিনটে বস্তু সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেগুলি হল অন্ন, বস্ত্র ও বাসস্থান। তাই গরিব মানুষদের মাথার উপর একটা পাকা ছাদ করে দেওয়ার জন্য সরকারের তরফ থেকে আবাস যোজনা প্রকল্পের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ও বাংলা আবাস যোজনা নিয়ে নানা বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি শুরু হয়েছে আবাস যোজনার নাম যাচাইয়ের পক্রিয়া। তাতেই যে রিপোর্ট উঠে আসছে তা নতুন করে বিক্ষোভের সৃষ্টি করছে।
বাংলায় আবাস যোজনার সমীক্ষা নিয়ে শুরু বিক্ষোভ
কিছুদিন আগেই মুখমন্ত্রী ঘোষণা করেন আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে আবাস যোজনার টাকা দেওয়া শুরু হবে। তার আগেই সমীক্ষার কাজ শেষ করে নিতে হবে। এই মর্মে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা নির্দেশকদের। তারপরেই জোর কদমে শুরু করেছে সমীক্ষা। কিন্তু মুশকিল হল গ্রামের দিকে অনেক জায়গাতেই সমীক্ষাকে ঘিরে বিক্ষোভ লক্ষ্য করা গিয়েছে।
কিছু জায়গায় গ্রামবাসীদের অভিযোগ অযোগ্য ব্যক্তিদের আবাস যোজনার নাম নেওয়া হচ্ছে। তবে এই প্রসঙ্গে বিগত মঙ্গলবারই মুখ্যমন্ত্রী মুখ খুলেছেন। তাঁর মতে, গ্রামের দিকে আবাস যোজনার বাড়ি দেওয়ার ক্ষেত্রে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি মেনে চলবে সরকার। কোনোভাবেই গরিব মানুষ যাতে আবাস যোজনার টাকা থেকে বঞ্চিত না হন সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
সমীক্ষায় বাদ পড়ছে ২০% নাম
জানা যাচ্ছে, সমীক্ষার কাজ শুরু হওয়ার সময় মোট ১৬ লক্ষ নাম ছিল আবাস যোজনা প্রকল্পে। কিন্তু সমীক্ষার পর তার থেকে প্রায় ৩.৫ লক্ষ নাম বাদ পড়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে এবিসি নাম ব্যাড পড়েছে উত্তর ২৪ পরগণা, মুর্শিদাবাদ, মালদা ও নদীয়া জেলায়। এর ফলে একপ্রকার ক্ষুদ্ধ জনতা।
আমজনতার ক্ষোভের মুখে পড়ে পুনরায় এই সাড়ে তিন লক্ষ আবেদনকারীদের সমীক্ষার জন্য নির্দেশ জারি করা হয়েছে। একইসাথে কেন প্রথমে সমীক্ষায় নাম বাতিল করা হয়েছিল সেই কারণও স্পষ্ট করে জানাতে হবে বলে জানা জেলা প্রশাসনকে, সেই কথাও জানানো হয়েছে।