‘প্রেমে অন্ধ’, প্রবাদবাক্যটি বোধহয় একেবারেই ঠিক। প্রেমে পড়লে আর হুঁশ চৈতন্য থাকেনা মানুষের। জাত, বর্ণ বয়সের তোয়াক্কা না করে শুধু ভালোবাসার মানুষটিকে কীভাবে নিজের করে পাবে সেই তাড়নাতেই ছুটতে থাকে সবাই। সম্প্রতি এমনই এক ঘটনার সাক্ষী রইলো আমাদেরই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ।
ভালোবাসা অন্ধ, ভালোবাসা কোনো যুক্তি মানে না। আরও কত কথাই শোনা যায় এই প্রেম ভালোবাসার বিষয়ে। আর এই শোনা কথাকেই বাস্তব করলো বাংলাদেশের মোছা খাইরুন নাহার এবং মামুন। সমস্ত বাধানিষেধ পেরিয়ে নিজেরই কলেজের শিক্ষিকাকে বিয়ে করেছেন তিনি।
ছোটোবেলায় নিজের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রতি ক্রাশ খাওয়ার গল্প শুনে থাকলেও সোজা বিয়ে আর তাও আবার ১৮ বছরের বড়ো শিক্ষিকাকে? এ ঘটনা বোধহয় এই প্রথম। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ৪০ বছরের খাইরুন ও নাটোর এনএস কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের বছর ২২-এর মামুন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। শোনা যাচ্ছে পূর্ব স্বামীর থেকে একটি মেয়েও রয়েছে খাউরুনের।
আপাতত এই ঘটনা নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই সরগরম হয়ে উঠেছে নেট দুনিয়া। জানা গেছে মাত্র মাস ছয়েক প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন দুজন। ২০২১ এর ২৪ জুন মেসেঞ্জারের দৌলতে তাদের পরিচয় শুরু হয়। সেখান থেকেই বন্ধুত্ব এবং ঘনিষ্ঠতা। এরপর সেই বছরই ডিসেম্বর মাসে চার হাত এক হয় তাদের।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, খাইরুন এর আগেও একবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেও মোটেও সুখকর হয়নি সেটা। সেইসময় মেয়েকে নিয়ে যথেষ্ট অবসাদে ভূগছিলেন তিনি। তিনি জানান, সহ্যের সীমা অতিক্রম করে যাওয়ায় আত্মহত্যার সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন একটাসময়। সেইসময় সর্বক্ষণ পাশে ছিলো মামুন, প্রতিনিয়ত বাঁচার সাহস জুগিয়েছেন তাকে।
তবে সামাজিক হেনস্থার হাত থেকে বাঁচতে এই বিয়েটা লুকিয়েই করেছিলেন তারা। কিন্তু সত্যি আর কাঁহাতক লুকানো যায়! ধীরে ধীরে খবর পৌঁছে যায় দুই বাড়িতেই। যদিও মামুনের এসবে বিশেষ কিছু যায় আসেনা। দুজন মিলে গুরুদাসপুরের একটি ভাড়া বাড়িতে নিজেদের সংসার পেতেছেন তারা। অপরদিকে মামুনের কথায় জানা যায়, তিনি নিজের মতো বেশ সুন্দর করে সংসার গুছিয়ে নিয়েছেন। আর সেই কারনে তিনি ভাবতে চাইছেন না কে কী ভাবছে তাকে নিয়ে।