নিউজ শর্ট ডেস্ক: সকাল থেকে সন্ধ্যা আট থেকে আশি আমাদের সকলের জীবনটাই এখন বন্দি মুঠোফোনে। তাই সময়ের সাথে সাথেই এখন 3G,4G -এর জামানা ছাড়িয়ে হু হু করে বাড়ছে 5G নেটওয়ার্কের (5G Network) রমরমা। বিশেষ করে বিগত দেড় বছরে সারা ভারতে ছড়িয়ে পড়েছে এই 5G নেটওয়ার্কের গ্রাহক।
তাই বেশিরভাগ গ্রাহকদের কাছেই এখন অতীত 4G নেটওয়ার্ক পরিষেবা। যদিও এমন অনেক গ্রাহকই রয়েছেন যারা এখনও আটকে রয়েছেন 4G নেটওয়ার্কেই। অন্যান্য সব প্রতিদ্বন্দ্বী টেলিকম সংস্থাকে ছাপিয়ে ইতিমধ্যেই সারা দেশে জালের মতো ছড়িয়ে পড়েছে রিলায়েন্স জিও-র (Jio) 5G নেটওয়ার্ক।যদিও খুব একটা পিছিয়ে নেই এয়ারটেলও।
তবে সরকারি টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল ইউজাররা এখনও 4G নেটওয়ার্কের সুবিধা টুকুও পাননি। স্বাভাবিকভাবেই 5G নেটওয়ার্কে ইন্টারনেট স্পিড 4G-র তুলনায় অনেক বেশি। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন 4G নাকি 5G কোন নেটওয়ার্কে সবচেয়ে বেশি ব্যাটারি খরচ হয়? আসুন এই বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাক।
ইন্টারনেট স্পিড যাচাই করতে সম্প্রতি একটি সমীক্ষা চালায় আমেরিকান কোম্পানি ওকলা (Ookla)। সেই সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে ব্যাটারির কথা বিবেচনা করলে 4G নেটওয়ার্কই ভাল। কারণ 5G নেটওয়ার্কে বেশি ব্যাটারি খরচ হয়। শুধু তাই নয়, জানা যাচ্ছে,5Gনেটওয়ার্কের ফোনে ৬ থেকে ১১ শতাংশ ব্যাটারি বেশি খরচ হয়’।
আরও পড়ুন: অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের জন্য বাম্পার সুখবর! এবার পাবেন এই বিরাট সুবিধা
এছাড়াও এই সমীক্ষা থেকে জানা যাচ্ছে যে সব স্মার্টফোনে Qualcomm Snapdragon 8 Gen 2 প্রসেসর রয়েছে, তাতে 5G নেটওয়ার্ক চললেও ব্যাটারি কম খরচ হয়। সমীক্ষার ট্রায়ালে দেখা গিয়েছে 5G নেটওয়ার্কে মোবাইলের ৩১ শতাংশ ব্যাটারি খরচ হয়। অন্য দিকে, 4G নেটওয়ার্কে তুলনামূলক ভাবে কম অর্থাৎ ২৫ শতাংশ ব্যাটারি খরচ হয়।
কিন্তু কেন বেশি ব্যাটারি খরচ হয়?
আসলে, সব জায়গায় 5G নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না। তাই 5G নেটওয়ার্ক সার্চ করার জন্য এমনিই স্মার্টফোনের প্রচুর শক্তি খরচ হয়। তবে সব জায়গায় হাই স্পিড 5G নেটওয়ার্ক থাকলে এত ব্যাটারি খরচ হবে না।
ব্যাটারি বাঁচানোর টিপস :
তবে গ্রাহকরা যদি কিছু টিপস মেনে চললে 5G নেটওয়ার্কেও কম ব্যাটারি পুড়বে। তবে তার জন্য 5G-র প্রয়োজন না থাকলে ৪G নেটওয়ার্কে স্যুইচ করতে হবে। এতে অনেক ব্যাটারি বাঁচবে। এছাড়া ৫জি ফোনের স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা কমিয়ে রাখা যায়। কিংবা ব্যাটারি বাঁচাতে রিং ভাইব্রেটর-ও বন্ধ রাখতে হবে। এছাড়া প্রয়োজন নেই এমন অ্যাপ ডিলিট করে দিতে হবে।