- ভারতীয় মধ্যবিত্ত পরিবারে গত কয়েক দশক ধরে টিভিই বিনোদনের একমাত্র উৎস। অবশ্য মোবাইলের উত্থান এবং সস্তা ইন্টারনেট আসার সাথে সাথে টিভির গুরুত্ব হ্রাস পেয়েছে। আর এখনও দেশের অর্ধেক জনসংখ্যার জন্য, টিভি, মোবাইল বা অন্যান্য মাধ্যমে বলিউডের সিনেমাই আমাদের একমাত্র সত্যিকারের বন্ধু।
এমতাবস্থায় বলিউড একাধিক দূর্দান্ত ছবি উপহার দিয়েছেন সিনেমাপ্রেমীদের। কোনো ছবি আমাদের কাঁদিয়েছে তো কোনো ছবি আমাদের মন খুলে হাসিয়েছে। এধরনের হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া ছবি আমাদের জন্য উপহারের চেয়ে কম কিছু নয়। আজ এমন কিছু ছবির কথা বলবো যা দেখতে দেখতে চোখের জলে ভেসেছে দর্শকমহল।
1) কাল হো না হো : তালিকার প্রথমেই রয়েছে ২০০৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘কাল হো না হো’। যে কোনো পাথর হৃদয়ও গলে যাবে এই ছবি দেখলে। শাহরুখ, প্রীতি জিন্টা এবং সইফ আলি খানের অভিনয় দেখার পর প্রতিটি দর্শক চোখের জলে ভেসেছে। বিশেষ করে হাসপাতালের বিছানায় শয্যাগত অবস্থায় যখন আমন ব্যাখ্যা করেন কেন তিনি সবসময় নয়নাকে নিজের থেকে দূরে রাখতেন।
2) রং দে বাসন্তী : রং দে বাসন্তী ২০০৪ সালের সবচেয়ে আবেগপূর্ণ চলচ্চিত্রগুলির মধ্যে একটি। এটি এমন একটি ছবি যা একাধিকবার দেখলেও বোর হবেননা আপনি। ছবিটি শুরু হয় বেশ কিছু দর্শনীয় কলেজ নাটক দিয়ে। কিন্তু ঘটনাচক্রে ছবিটি এমন এক দেশপ্রেমিক মোড়কে আটকে যায় যেখানে একজন সাধারণ ব্যক্তিও দেশপ্রেমিক হয়ে ওঠে।
3) তারে জমিন পর : এই ছবিটি ভারতের চলচ্চিত্র জগতের একটি মাইলফলক। আমিরের কেরিয়ারের অন্যতম সেরা ছবি এটি। ছবিতে একটি ডিসলেক্সিয়ায় আক্রান্ত বাচ্চার জীবনকে দেখানো হয়েছে। ছবিতে এমন বেশ কিছু ঘটনা দেখানো হয়েছে যা দেখে চোখের জল চাইলেও আটকাতে পারবেননা আপনি।
4) বাগবান : বলিউডের মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চন অভিনীত বাগবান এমনই একটি চলচ্চিত্র যা আমাদের সমাজের সবচেয়ে বড় সত্যকে তুলে ধরে। এই ছবিতে দেখা যায় অমিতাভ বচ্চন এবং হেমা মালিনী তাদের সন্তানদের দ্বারা আলাদা হয়ে গেছেন। কারণ, তাদেরকে একসঙ্গে রেখে কেউ সেবা করতে চায় না। শেষের ঠিক আগে ‘ম্যায় ইয়াহান তু উহা’ গানটি দেখতে দেখতে অশ্রুষিক্ত হয়নি এমন দর্শক বিরল।
5) আনন্দ : বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই হয়তো এই ছবিটি দেখেনি। তবে এই ছবির সংলাপ আজও একদম নতুন। আনন্দ ছবিতে, একজন মৃত্যু পথযাত্রী ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে যিনি শেষসময় আসার আগে জীবনটাকে আনন্দে কাটাতে চান।