5 Business Idea that be funded by West Bengal Government

যুবক-যুবতীদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ, এই ৫ ব্যবসা করার জন্য টাকা দিচ্ছে খোদ রাজ্য সরকার

নিউজশর্ট ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কথা চিন্তা করে একাধিক জনকল্যাণকর প্রকল্প (Government Scheme) চালু করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কন্যাশ্রী, রুপশ্রী, স্বাস্থ্য সাথী থেকে শুরু করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, সবই রাজ্যের মানুষের সুবিধার্থে চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এবার ব্যবসার মূলধনের ক্ষেত্রে অর্থ সাহায্যও করবে রাজ্য (Government Funding for Business)

রাজ্যবাসির জন্য একাধিক ভাতা শুরু করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর জন্য বারংবার বিরোধীদের কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। বিরোধীদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী শুধু মাত্র ভাতা দিয়েই দায় সারছেন, কিন্তু ব্যবসা বা চাকরিতে সাহায্যের জন্য এই রাজ্য কার্যত ঠুঁটো জগন্নাথ। তবে এবার বিরোধীদের যোগ্য জবাব দিতে এক নয়া স্কিম আনল রাজ্য।

কারা এই স্কিমের সুবিধা পাবেন?

রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প ও উদ্যানপালন দপ্তরের তরফ থেকে এ প্রসঙ্গে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠা উদ্যানপালন উন্নয়ন মিশনের মাধ্যমে দারুন সব স্কিমের সুবিধা দেওয়া হয় গ্রাহকদের। এই প্রকল্প গুলির সুবিধা গ্রহণ করে কৃষক এবং এফপিসি, এফপিও নানা ভাবে উপকৃত হবেন।

Business Idea

কোন ব্যবসা করলে দেওয়া হবে এই সুবিধা?

উদ্যানপালন উন্নয়ন মিশনের প্রকল্প অনুসারে বেশ কয়েকটি বিশেষ ব্যবসার জন্য অনুদান পাবেন ব্যবসায়ীরা। কাদের ক্ষেত্রে এই সুবিধা দেওয়া হবে দেখে নিন একনজরে।

আরও পড়ুনঃ সরকারি বাড়ির আবেদন করেছেন? প্রকাশ্যে পিএম আবাস যোজনার নতুন লিস্ট, দেখুন আপনার নাম আছে কিনা?

মশলা চাষ : কৃষকরা যদি মশলা চাষ করেন সেক্ষেত্রে সরকারের তরফ থেকে তারা একটি বিশেষ সুবিধা পাবেন। এই প্রকল্প শুরু করলে সম্পূর্ন প্রকল্পের খরচের ৪০ শতাংশ হিসেবে সর্বাধিক ১২০০০ টাকা পর্যন্ত অনুদান দেওয়া হবে কৃষকদের। এই অনুদান পাওয়া যাবে প্রতি হেক্টর জমি হিসাবে।

Business Idea: বেশি কিছু না, শুধু এই মশলা চাষ করেই হতে পারেন কোটিপতি! ব্যবসার ট্রিকস শিখে নিন

ফলের প্যাকেজিং : কোনো ব্যক্তি যদি একটি ফলের প্যাকিং হাউস খুলে তার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে চান, সেক্ষেত্রেও সরকারি সাহায্য তিনি পেতে পারেন। ৯ মিটার × ৬ মিটারের একটি ফলের প্যাকিং হাউসে খরচের ৫০ শতাংশ অনুদান পাবেন আগ্রহী প্রার্থীরা। প্রতি প্যাক হাউস পিছু এই অনুদান পাওয়ার সর্বোচ্চ সীমা হলো ২ লক্ষ টাকা।

পাওয়ার টিলার : ৮ হর্স পাওয়ার বা তার থেকে বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন পাওয়ার টিলার নিতে গেলে সরকারি সহায্য পাওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে মোট খরচের ৪০ শতাংশ অনুদান পাওয়া যায়। এই অনুদানের সর্বোচ্চ পরিমাণ হলো ৭৫০০০ টাকা প্রতি ইউনিট।

Onion Storage Business

পেঁয়াজ সংরক্ষণ কেন্দ্র : কম খরচে পেঁয়াজ সংরক্ষণের পরিকাঠামো গড়ে তুললেও আর্থিক অনুদান পাওয়া সম্ভব হবে। এই পেঁয়াজ সংরক্ষণ প্রকল্প গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ২৫ মেট্রিক টন হিসাবে সরকারি অনুদান মিলবে। এক্ষেত্রে পুরো প্রকল্প খরচের অর্ধেক টাকা অনুদান হিসাবে দেওয়া হবে কৃষকদের। এই হিসাব অনুসারে সরকারি অনুদানের মাধ্যমে কৃষকরা প্রতি ইউনিটে সর্বোচ্চ ৮৭৫০০ টাকা করে পেতে পারেন।

গ্রীন হাউস রুম : গ্রিন হাউজ ঘর তৈরি করতে চাইলে গ্রাহক সরকারি অনুদান লাভ করতে পারেন। এক্ষেত্রেও মোট প্রকল্প খরচের ৫০ শতাংশ টাকা সরকারি অনুদান হিসেবে পাওয়া যায়। প্রতি বর্গমিটারে সর্বোচ্চ ৫৩০ টাকা আর্থিক সাহায্য পাওয়া যায়। একজন কৃষক সর্বোচ্চ ৪ হাজার বর্গমিটারের জমিতে এই কাজ করে অনুদানটি পেতে পারেন।

প্রসঙ্গত, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বারংবার ব্যবসা কারা কথা বলেন। কোন সভা হোক বা বৈঠক , সব জায়গা থেকেই ব্যবসা কারার জন্য এগিয়ে আসার বার্তা দেন। এবার সেই ব্যবসা ক্ষেত্রেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

Avatar

Koushik Dutta

X