নিউজশর্ট ডেস্কঃ সারাসপ্তাহ ধরে কাজের ফলে শরীর ও মনের ব্যাটারি ডাউন? ফুল রিচার্জ করার চটজলদি উপায় হল ভ্রমণ। বিশেষ করে যদি বন্ধুরা মিলে যদি একটা ছোট্ট বাইক ট্যুর করে নেওয়া যায় তাহলে তো আর কথাই নেই! কিন্তু কোথায় যাবেন সেটাই ঠিক করে ওঠা যায় না অনেক সময়। তাই আজ আপনাদের জন্য রইল ৫ টি বাইক ট্যুর ডেস্টিনেশন।
জয়পুর ফরেস্ট (Joypur Forest)
আপনি যদি বেশ রোমাঞ্চভরা একটা জঙ্গলের ট্রিপ করতে চান তাহলে বাঁকুড়ার জয়পুর ফরেস্ট আপনার জন্য পারফেক্ট উইকেন্ড ডেস্টিনেশন হতে পারে। কলকাতা থেকে এখানে পৌঁছাতে হলে বাই রোড দূরত্ব ১৩০ কিমির মধ্যেই। তাই ৩-৪ ঘন্টার মধ্যেই দিব্যি পৌঁছে যাওয়া যাবে। শহরের কোলাহল থেকে মুক্তি এই জঙ্গলের কাছেই আছে বনলতা রিসর্ট। চাইলে একটা দিন সেখানে থেকেও যেতে পারেন।
বিষ্ণুপুর (Bishnupur)
কলকাতা থেকে ১৫০ কিমির মধ্যেই রয়েছে আরও একটি সুন্দর ঘোরার জায়গা বিষ্ণুপুর। ছোটবেলায় বইতে যে টেরাকোটা বা পোড়ামাটির কাজের কথা পড়েছি আমরা সকলে, এখানে গেলেই তা চাক্ষুষ দেখতে পাওয়া যাবে। চাইলে ৪ ঘন্টা মত বাইক রাইড করেই চলে যাওয়া যায় বিষ্ণুপুর। তারপর ঘোরা খাওয়া দাওয়া সেরে ফিরে আসাও যায় আবার কাছাকছি কোনো হোটেলে থেকে যাওয়ায় যায়।
মন্দারমণি (Mandarmani)
বাঙালির ভ্রমণের হাতেখড়িই হয় দিঘা, মন্দারমণি দিয়ে। সারাবছরই এই জায়গায় জমজমাট ভিড়। থাকে। তবে যদি প্রিয়জনকে নিয়ে একটা লং ড্রাইভে যেতে চান আর রিলাক্স করে কিছুটা সময় কাটাতে চান তাহলে মন্দারমণি যাওয়া যেতেই পারে। ৪-৫ ঘন্টা ড্রাইভ করলেই পৌঁছে যাওয়া যাবে মন্দারমণি, তারপর রিসর্ট বুক করে একটা দুর্দান্ত উইকেন্ড এনজয় করুন।
চিলাপাতা ফরেস্ট (Chilapata Forest)
লং ড্রাইভে প্রিয়জনকে নিয়ে পাহাড়ি জঙ্গলের রোমাঞ্চক অনুভূতি চান? তাহলে আপনাকে আসতেই হবে চিলাপাতা ফরেস্ট এলাকায়। কলকাতা থেকে দূরত্ব মোটামুটি ৭১০ কিমি। তাই পৌঁছাতে দু থেকে তিনদিনের সময় লাগতেই পারে। তবে একবার পৌঁছালে মোটেই আফসোস হবে না একটুকু গ্যারেন্টি।
আরও পড়ুনঃ ছবির মত সুন্দর পাহাড়-ঝর্ণা সাথে জঙ্গল, রইল দক্ষিণ ভারতের সেরা পাহাড়ি ডেস্টিনেশনের হদিশ
তিনচুলে (Tinchuley)
আপনি যদি জঙ্গল বা সমুদ্রে না গিয়ে পাহাড়ি রাস্তায় লং ড্রাইভের মজা নিতে চান তাহলে তিনচুলে সেরা ডেস্টিনেশন হতে পারে। কলকাতা থেকে প্রায় ৭০০ কিমি দূরের তিনচুলে পৌঁছাতে হল্ট দিয়ে ২-৩ দিন সময় লাগতে পারে। তবে এই যাত্রা একেবারে চিরস্মরণীয় হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া বাইকে গেলে কাছেপিঠের জায়গাগুলো ঘুরে দেখতেও বেশ সুবিধা হবে।