যেকোনো ছবির সাফল্যের পেছনে দুটি জিনিস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রথম, ছবির চিত্রনাট্য এবং দ্বিতীয়, অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অভিনয়। নেপোটিজমের বাড়বাড়ন্তের জন্য যেখানে প্রতিভাবান শিল্পীরা ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকার জন্য প্রতিনিয়ত লড়াই করে যাচ্ছে সেখানেই বলিউড তারকাদের সন্তান বা আত্মীয় হওয়ার কারণে কেউ কেউ হুটহাট বড়ো প্রোজেক্টে ঢুকে পড়ছে। এমতাবস্থায় রণবীর, আলিয়ার মতো কিছু মানুষ আছে যারা অভিনয়টা বোঝেন এবং নিজেদের প্রতিনিয়ত ভেঙেচুরে নিজের সেরাটা বের করে আনার চেষ্টা করেন। আবার কিছু তারকা এমনও আছেন যারা অভিনয়ের ‘অ’টাও জানেননা অথচ তবুও ইন্ডাস্ট্রিতে ঘাঁটি গেড়ে বসে আছেন। তাদের যে অন্য পেশায় যুক্ত হওয়া উচিত তার এইসব শিল্পীরা মোটেও বোঝেননা। আজকের নিবন্ধে এমনই কিছু শিল্পীর কথা বলবো যাদের অবিলম্বে অভিনয় থেকে সরে দাঁড়ানো উচিত বলেই মনে করে জনতা।
1. হিমেশ রেসমিয়া
হিমেশ রেশমিয়া যে খুব ভালো গায়ক এবং সুরকার তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তার গাওয়া গানগুলি প্রায়শই বেশ হিট হয়। যদিও হিমেশ যতটা ভালো গায়ক, ততটাই খারাপ অভিনেতা। ২০০৭ সাল থেকে অভিনয়ের ভুত চেপেছিল তার মাথায় । এরপর ‘আপ কা সুরুর’ ছবিতে নায়ক হিসেবে দেখা যায় তাকে। ছবিটি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়লেও হার মানেননি তিনি। এরপর ২০১০ সালে কাজররে, ২০১১ সালে দম দম, ২০১৪ সালে এক্সপোজ এবং ২০১৬ সালে তেরা সুরুর-এর মতো ছবিতে নায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। কিন্তু ধারাবাহিকতা বজায় রেখে প্রতিটি ছবিই মার খায় বক্স অফিসে। যদিও এতেও থেমে থাকেননি তিনি, এরপর ২০২০ সালে রিলিজ হয় হিমেশ অভিনীত ‘হ্যাপি হার্ডি অ্যান্ড হির’ আর বলাইবাহুল্য এ ছবিটিও কিছু ব্যতিক্রম ফলাফল করেনি। জানিয়ে রাখি, হিমেশ নিজেই তার ছবির প্রডিউসার।
2. সোহেল খান
সালমান খান বলিউডের সবচেয়ে বড় সুপারস্টারদের মধ্যে একজন। বলিউডে যে তার রাজত্ব চলে তা সকলেরই জানা। তবে তার ছোট ভাই সোহেল এর সম্পূর্ণ বিপরীত। সোহেল ২০০২ সালে ‘ম্যায়নে দিল তুঝকো দিয়া’ ছবির মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর আরও অনেক ছবিতে তাকে দেখা গেলেও তার অভিনয় দর্শকদের মনে বিশেষ জায়গা করতে পারেনি। তবে কিন্তু সালমান খানের ভাই হওয়ার কারণে অভিনেতা হিসেবে এখনও পর্যন্ত ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে রয়েছেন তিনি।
3. জ্যাকি ভগনানি
২০০৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘কাল ইসনে দেখা’ দিয়ে বলিউডে পা রাখেন জ্যাকি ভাগনানি। এরপর মিত্রা, আজব গজব লাভ, ফালতু-এর মতো বেশ কিছু ছবিতে অভিনয় করলেও বিশেষ সাড়া জাগাতে পারেনি দর্শকমহলে। তবে চলচ্চিত্র প্রযোজক বাশু ভগনানির ছেলে হওয়ায় তিনি এখনও চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন।
4. তুষার কাপুর
জিতেন্দ্রের ছেলে এবং একতা কাপুরের ভাই তুষার কাপুরেরও অভিনয় দক্ষতা তথৈবচ। তার চলচ্চিত্রে জগতে টিকে থাকার সবচেয়ে বড়ো কারণ হল তিনি জিতেন্দ্রের ছেলে এবং দিদি একতা কাপুরের নিজস্ব ফিল্ম প্রোডাকশন হাউস রয়েছে। প্রসঙ্গত, তুষার অভিনীত ‘গোলমাল’ সিরিজ ছাড়া বাকি সব ছবিই নাম লিখিয়েছে ফ্লপের তালিকায়।
5. আর্য বব্বর
রাজ বব্বর বলিউডের একজন দাপুটে অভিনেতা হলেও তার ছেলে আর্য বব্বরের জাদু বিশেষ চলেনি। ২০০২ সালে তার ‘আব কে বারস’ ছবিটি মুক্তি পায় যা বক্স অফিসে খুব বাজে ভাবে মুখ থুবড়ে পড়ে। এর পরেও বেশ কিছু ছবিতে অভিনয় করলেও দর্শকমহল তাকে বিশেষ পছন্দ করেনি। এইমুহুর্তে আর্যকেও বলিউডের ফ্লপ অভিনেতাদের মধ্যেই গণ্য করা হয়।