পার্থ মান্নাঃ সুন্দর নিদার চেহারা পুরুষ হোক বা নারী উভয়ই চায়। তবে বর্তমানের ব্যস্ত জীবনে রূপচর্চার সময় পাওয়াটা বেশ মুশকিল। তার ওপর দূষণের কারণেও ত্বকের যথেষ্ট ক্ষতি হয়। এমতাবস্থায় সৌন্দর্য রক্ষার্থে বিভিন্ন কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছেন অনেকেই। তবে জানলে অবাক হবেন আমাদের বাড়িতে থাকা কিছু জিনিসই চেহারার উজ্জ্বল্য ফিরিয়ে আনতে পারে। তাই আজকের প্রতিবেদনে এমন পাঁচটি জিনিস সম্পর্কে আপনাদের জানাবো যেগুলো কেমিক্যাল ফেসওয়াশ এর বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করতে পারবেন।
বেসন ও দই : রান্নাঘরে বেসন ও দই এই দুটো উপকরণই খুবই সহজ প্রাপ্য। একটা বাটিতে কিছুটা বেসন আর তার সাথে দু এক চামচ দই মিশিয়ে একটা পেস্ট মত বানিয়ে নিন। এরপর সেটা ভালো করে মুখে মেখে দশ মিনিট রাখুন। তারপর পরিষ্কার করে মুগ ধরে নিন। দেখবেন এতে ত্বকের ওপর থাকা ডেপ স্কিন যেমন উধাও হয়ে যাবে তেমনি কালচে দাগ ও দূর হবে।
মুগ কড়াইয়ের গুঁড়ো : রান্নাঘরে মুখ কড়াইয়ের ডাল খুব সহজেই পাওয়া যাবে। মিক্সিতে বেশ কিছুটা মুখ করাইয়ের ডাল একেবারে পাউডারের মতো করে গুড়িয়ে নিন। এরপর যখন ফেসওয়াশ করার ইচ্ছা হবে তখন হাতে অল্প মুগ কড়াইয়ের গুঁড়ো নিয়ে তাতে জল মিশিয়ে ভালো করে স্ক্রাব করার মত করে মুখে লাগিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এভাবে এক সপ্তাহ ব্যবহার করলেই দেখবেন ত্বকের জেল্লা ফিরে যাবে।
দুধের সর: দুধের সর ত্বকের জন্য উপকারী এটা ছোট থেকেই সকলে জানে। শীতকালে যদি ত্বক শুষ্ক ও খসখসে হয়ে যায় তাহলে জল দিয়ে পরিষ্কার করে মুখ ধুয়ে নিন। এরপর দুধের সর দিয়ে গোটা মুখে ভালো করে ম্যাসাজ করে নিতে হবে। এরপর ১০ মিনিট অপেক্ষা করে সবটা শুকিয়ে নিয়ে আবারও মুখ ধুয়ে নিলেই দেখবেন শুষ্কতা উধাও হয়ে যাবে।
মুলতানি মাটি : রূপচর্চার জন্য অনেকেই ফেসপ্যাক বা ফেস ওয়াশ ব্যবহার করে থাকেন। এতে অনেক সময় ক্ষতিকারক কেমিক্যাল থাকে, যে কারণে মুখে ব্রণও হতে পারে। তবে সেসব না করে প্রাকৃতিক উপাদান মুলতানি মাটি ব্যবহার করে পারেন। অল্প জল দিয়ে গুলে ফেসপ্যাকের মত মুলতানি মাটি মুখে বা গোটা শরীরে মেখে নিতে পারেন। এরপর কিছুক্ষণ সেটা শুকনো হতে দিয়ে আবারো জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুবার যদি এরকম করা যায় তাহলে কিছুদিনের মধ্যেই পার্থক্য বুঝতে পারবেন।
গোলাপজল : মুখ পরিষ্কার করার জন্য ফেসওয়াশ ব্যবহারের বদলে যদি গোলাপজল ব্যবহার করেন তাহলেই যথেষ্ট। এতে যেমন কোনো কেমিক্যাল থাকে না। তেমনি চাইলে বাড়িতেই গোলাপ জল বানিয়ে সেটা বহুদিন ব্যবহার করা যায়।