5 toy train journey of India to enjoy beauty of mountains

একবার গেলেই হবে চিরস্মরণীয়! রইল পাহাড়ি সৌন্দর্য উপভোগের জন্য ভারতের ৫টি সেরা টয় ট্রেনের হদিশ

নিউজশর্ট ডেস্কঃ টয় ট্রেন, নাম শুনলেই মাথায় আসে হিমালয়ের রানি দার্জিলিঙের (Darjeeling) কথা। উনিশ শতকে ব্রিটিশ শাসিত ভারতে টয় ট্রেনের জন্ম। শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত তার যাত্রাপথ। ১৮৮১ সালে প্রথম দার্জিলিং পর্যন্ত টয় ট্রেন (Darjeeling Toy Train) ছুটেছিল। সেই টয় ট্রেনের কদর এখনও কমেনি। বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাতে জুড়েছে ভিস্তা ডোম কোচ। আধুনিক হয়েছে ট্রেন। পাশাপাশি, টয় ট্রেন ছুটছে ভারতেরও আরও কয়েকটি পাহাড়ি পথে।

উনিশ শতকে ব্রিটিশ শাসিত ভারতে টয় ট্রেনের জন্ম। শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত তার যাত্রাপথ। ১৮৮১ সালে প্রথম দার্জিলিং পর্যন্ত টয় ট্রেন ছুটেছিল। সেই টয় ট্রেনের কদর এখনও কমেনি। বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাতে জুড়েছে ভিস্তা ডোম কোচ। আরও আধুনিক হয়েছে ট্রেন।

কোথায় রয়েছে পাহাড়ি সৌন্দর্য উপভোগের সেরা টয় ট্রেনগুলি?

দার্জিলিং (Darjeeling Toy Train): শৈলশহর দার্জিলিঙের ঐতিহ্যের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে টয় ট্রেন। জানা যায়, ১৮৭৮-এ এই রেললাইন বসানোর দায়িত্ব দেওয়া হয় কলকাতার ‘টম মিচেল অ্যান্ড র‌্যামসে কোম্পানি’কে। জামালপুরের ইআরআর ওয়ার্কশপে তৈরি হতে থাকে এই রেল টানার উপযুক্ত ছোট ইঞ্জিন। আকারে খুদে বলে তার নাম দেওয়া হয় ‘টাইনি’। ১৮৮১ সালে শিলিগুড়ি থেকে প্রথম দার্জিলিং পর্যন্ত টয় ট্রেন পৌঁছয়। এর পরের বছরেই রবীন্দ্রনাথ এতে চেপে দার্জিলিং গিয়েছিলেন। তবে এখন দার্জিলিং ছাড়াও অন্য জায়গাগুলিতেও পৌঁছে গিয়েছে টয় ট্রেন।

darjeeling toy train, দার্জিলিং টয় ট্রেন

কালকা-শিমলা (Kalka Shimla Toy Train): টয় ট্রেন সফরের আরও একটি পথ হল কালকা থেকে শিমলা। ৯৬ কিলোমিটার রেলপথে রয়েছে ১৮টি স্টেশন। এই ট্রেনযাত্রার রোমাঞ্চ আলো-আঁধারিতে। প্রায় শ’খানেক সুড়ঙ্গের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে রেলপথ। ১৯০৩ সালে কালকা-শিমলা রেলপথের সূচনা। হরিয়ানার কালকা থেকে হিমাচল প্রদেশের শিমলা পর্যন্ত ছোটে এই টয় ট্রেন। ২০০৮ সালে কালকা-শিমলা টয় ট্রেন ইউনেস্কোর ‘হেরিটজ’ তকমা পেয়েছে।

আরও পড়ুনঃ একদিনের ছুটিতে হলিডে প্ল্যান? রইল একেবারে অফবিট সবুজে ঘেরা ‘বাংলার আরাকু ভ্যালি’র হদিশ

Kalka Shimla toy train, কালকা শিমলা টয় ট্রেন

উটি-মেট্টুপালায়ম (uti-mettupalayam) : সবুজ চা-বাগানের অনুপম সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য ভাল উপায় উটি-মেট্টুপালায়মের টয় ট্রেন যাত্রা। নীলগিরি মাউন্টেন রেলওয়ের অন্তর্গত ‘হেরটিজ’ টয় ট্রেনটি শুধু দেশ নয়, বিদেশি পর্যটকদের কাছেও জনপ্রিয়। নীলগিরি মাউন্টেন রেলওয়ে শুধু ভারতের নয়, এশিয়ার মধ্যেও অন্যতম খাড়াই রেলপথ হিসাবে পরিচিত।১৯০৮ সালে এই রেলপথে প্রথম টয় ট্রেন ছোটে। তামিলনাড়ুর কোয়েম্বত্তুরের মেট্টুপালাইয়ম স্টেশন থেকে উধগমণ্ডলম অর্থাৎ উটি স্টেশন পর্যন্ত এই ট্রেনের যাত্রাপথ।

উটি-মেট্টুপালায়ম টয় ট্রেন , uti-mettupalayam toy train

নেরাল-মাথেরন টয় ট্রেন (Neral-Matheron Toy Train) : মহারাষ্ট্রের শৈলশহর মাথেরন। টয় ট্রেনে বসে বর্ষায় সহ্যাদ্রি পর্বতের রূপ উপভোগের অভিজ্ঞতা স্মরণীয় হয়ে থাকতে পারে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮০০ মিটার উচ্চতায় এই রেলপথ। ১৮৫০ সালে মুম্বইয়ের শিল্পপতি আদমজি পিরভয় ব্রিটিশ আধিকারিকদের খুশি করতে এবং যাত্রাপথকে আরও সহজ করতে টয় ট্রেন চালানোর উদ্যোগ নেন।

নেরাল-মাথেরন টয় ট্রেন, Neral-Matheron Toy Train

পাঠানকোট-যোগিন্দরনগর টয় ট্রেন (Pathankot-Yogindernagar Toy Train): হিমাচল প্রদেশের আর এক প্রান্তেও টয় ট্রেন যাত্রা উপভোগ করা যায়। ১৯২৯ সালে এই ট্রেনযাত্রার সূচনা হয়। পথে ১৮টি স্টেশন রয়েছে।

পাঠানকোট-যোগিন্দরনগর টয় ট্রেন,Pathankot-Yogindernagar Toy Train

অনেক বলেন, এই ট্রেন যাত্রায় কেউ কেউ ভূতুড়ে অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়েছেন। একটি সমাধিস্থলের উপর দিয়ে রেলপথ নির্মিত হয়েছে বলেই বেশ কিছু ভৌতিক গল্প ভেসে বেড়ায় পাহাড়ি হাওয়ায়। এই ছিল ভারতের ৫টি দারুণ সুন্দর টয় ট্রেন যাত্রাপথ। আপনার কোনটায় যাওয়ার ইচ্ছা?

Avatar

Koushik Dutta

X