পার্থ মান্নাঃ আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় শিউরে উঠেছে বাংলা সহ গোটা দেশের মানুষ। দুমাস পেরিয়ে গেলেও এখনও তদন্ত জারি রয়েছে। এরই মধ্যে নতুন করে শিরোনামে উঠে আসছে হাসপাতালের ‘থ্রেট কালচার’। প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও তাঁর কিছু ঘনিষ্ট জুনিয়ার ডাক্তারের বিরুদ্ধেই অভিযোগ। যার ফলে ইতিমধ্যেই ৫১ জন সাসপেন্ড হয়ে গিয়েছে। এবার তাঁরাই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ।
কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ সাসপেন্ড হওয়া জুনিয়ার ডাক্তারেরা
যেমনটা জানা যাচ্ছে, হাসপাতালের অভ্যন্তরে ‘থ্রেট কালচার’ প্রকাশ্যে আসতেই একটি তদন্ত কমিটি গঠন হয়। এরপর তদন্ত করার পর ৫১ জন জুনিয়ার ডাক্তারদের সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়। এবার কমিটির এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন এই চিকিৎসকেরা।
শুক্রবার হবে শুনানি
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি পার্থ সারথী সনের কাছে উঠেছে এই কেস। জানা যাচ্ছে আগামী ১৮ই অক্টোবর শুক্রবারেই মামলার শুনানি হবে। তাই আপাতত শুক্রবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে জুনিয়ার ডাক্তারদের।
প্রসঙ্গত, বুধবার সকাল থেকে ১৫ থেকে ২০ জন সাসপেন্ড হওয়া জুনিয়ার ডাক্তারেরা দেখা করেন। জানা যাচ্ছে, পুজোর শেষ হলেও আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। এরইমাঝে এল হাইকোর্টের দ্বারস্থ ডাক্তারেরা। অবশ্য এর আগে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে বিস্ফোরক তথ্য জানিয়েছিলেন তাঁরা।
সাসপেন্ড হওয়া জুনিয়ার ডাক্তারদের দাবি, আসল তথ্য প্রমাণ লোপাট করে তাদের ফাঁসানো হচ্ছে। যারা গরিব মানুষকে পরিষেবা দিতে ইচ্ছুক তাদের কাজ করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তাই তারাও আন্দোলনে নামবেন। তার আগেই হাসপাতলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ জুনিয়ার ডাক্তারেরা।