নিউজ শর্ট ডেস্ক: এই মূল্যবৃদ্ধির বাজারেই দিন দিন ভারতে বাড়ছে বেকারত্বের (Jobless) হার। এই কারণেই কাজ পাওয়ার থেকেও এখন অনেক বেশি সহজ হয়ে দাঁড়িয়েছে কাজ হারানো। তাই অনেক কোম্পানিই ইতিমধ্যেই কর্মী ছাঁটাই শুরু করেছে। তাই অর্থ উপার্জনের এখনই কেউই আর শুধুই চাকরির ওপর ভরসা করে থাকতে পারছেন না। তাই এবার এই টাকা-পয়সার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতেই নিজের ব্যবসা শুরু করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। আসুন দেখে নেওয়া যাক এমনই কয়েকটি লাভজনক ব্যবসা সম্পর্কে।
রিপেয়ারিং-এর মতো হাতের কাজের ব্যবসা:
নির্দিষ্ট কোনও হাতের কাজ জানা থাকলে কিংবা কোনো বিশেষ জ্ঞান থাকলে সেটাই পুঁজি। সেই দক্ষতাকে কাজে লাগিয়েই শুরু করা যায় সম্পূর্ণ নিজের ব্যবসা। উদাহরণ হিসাবে বলা যেতে পারে কেউ যদি মোবাইল ফোন বা ক্যামেরা মেরামত করতে পারেন তাহলে সেই দক্ষতাকেই ব্যবসায়িক রূপ দেওয়া যায়।
অ্যাকাউট্যান্ট:
যদি কেউ কমার্সের স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন এবং বাণিজ্যে স্নাতক হন এমনকি ট্যালিও জানেন তাহলে হোম বেসড অ্যাকাউন্টিং পরিষেবা তার জন্য আদর্শ। এর মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের ট্যাক্সেশন, পে-রোল পরিষেবা, জালিয়াতি তদন্ত, এমনকি আর্থিক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সাহায্য করা যেতে পারে।
ফ্রিল্যান্সিং:
এখনকার বাজারে কাজের অভাব নেই। তাই খোঁজ নিলে দেখা যাবে এমনও অনেক কোম্পানি আছে যারা খরচ কমানোর জন্য ফ্রিলান্সার দিয়েও কাজ করায়। তাই ফুল-টাইমের বদলে ফ্রিলান্সিং করেও ভালো টাকা আয় করা যায়। দেখতে গেলে প্রায় সারা বছরই ফ্রিলান্সার রাইটারদের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। এছাড়াও ইংরাজী থেকে বাংলা বা অন্যান্য ভাষায় অনুবাদ করার কাজেও ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। এখানে বলে রাখি যার লেখায় যত বেশি ক্রিয়েটিভিটি থাকে এক্ষেত্রে তার কাজের দাম তত বেশি হয়। এমনকি কেউ চাইলে নিজের কাজ কোম্পানির কাছে বিক্রিও করতে পারেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: সব্বাইকে টেক্কা দিয়ে গ্রাহকদের বড় উপহার দিল HDFC ব্যাঙ্ক! একলাফে FD-তে বাড়লো সুদের হার
ব্লগিং:
এখনকার এই সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে ব্লগারদের। যা দিনের পর দিন বাড়বে বই কমবে না। নিত্য নতুন বিষয় নিয়ে লেখালিখি করে অর্থ উপার্জন করা একটি দারুন বিষয়। তাই আজকের দিনে অনেকেই এই ফুল টাইম ব্লগিংকেই জীবিকা বানিয়ে নিয়েছেন। তবে ব্লগার হিসেবে ভালো টাকা উপার্জন করার উপায় একটাই ব্লগে প্রচুর পাঠক আনতে হবে। আর সেক্ষেত্রে বিষয়বস্তু এমন হতে হবে খুব যাতে খুব সজজেই পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়। আর পাঠকরা সেই বিষয়ে পড়তে আগ্রহ পান। তাছাড়া এই সমস্ত ব্লগে লেখার জন্য ফ্রিলান্স লেখকদেরও নিয়োগ করা হয়।
অনলাইন সার্ভে:
এখনকার দিনেনবীন থেকে প্রবীণ সমস্ত প্রজন্মের অধিকাংশ মানুষই অনেকটাই নির্ভরশীল বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাফর্মের ওপরেই। তাই এই চাহিদার কথায় মাথায় রেখেই অনেক ওয়েবসাইট আছে যারা অনলাইন সার্ভে করে থাকে। এই সমস্ত সার্ভেতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোনও পণ্য বা পরিষেবা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের চিন্তাভাবনা এবং পরামর্শ নেওয়া হয়। এই কাজ করেও অনেকেই অর্থ উপার্জন করে থাকেন। মূলত নিত্যনতুন পোশাক, প্রসাধনী, ব্ল্যাঙ্কেট, ওয়াশিং লিকুইড ইত্যাদির উপরেই সার্ভে করা হয়। তবে এখানে বলে রাখি, স্ক্যাম ওয়েবসাইট থেকে সাবধান। তাই এই ব্যবসা করতে গেলে সবসময় সতর্ক থাকতে হবে।
ফটোগ্রাফার:
ছবি তোলার নেশা থাকলে আজকের দিনে এটাই হতে পারে পেশা। তবে শুধু ক্যামেরা থাকলেই তো আর ফটোগ্রাফার হওয়া যায় না। তাই যে কোনো বিশেষ মুহূর্ত ক্যামেরা বন্দি করলেই হয় না, ছবি তোলার চোখও থাকা জরুরি। এই বিশেষ গুণ থাকলে এখনকার দিনে সহজেই শুরু করা যায় ফটোগ্রাফার হওয়ার ব্যবসা।
তাছাড়া এখন লোকজন বিয়ে বা যে কোনও ছোট খাটো অনুষ্ঠানে বিশেষ মুহূর্ত গুলো লেন্স বন্দি করার জন্য ফটোগ্রাফারদের পিছনে ভালোই টাকা খরচ করেন। তাই চাকরি ছেড়েও এখনকার দিনে অনেকেই এই লাভজনক ব্যবসার দিকেই ঝুঁকছেন। তবে মনে রাখতে হবে এক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা অনেক বেশি।