নিউজশর্ট ডেস্কঃ এখন হাতে মোবাইল থাকলেই ঘরে বসে মোটা টাকা উপার্জন করতে পারছেন। চাকরির বেহাল দশার কথা মাথায় রেখে এখন বিভিন্ন রকমের ঘরোয়া ব্যবসার দিকে মানুষের ঝোঁক বেশি থাকছে। এমনই কিছু ঘরোয়া ও টেন্ডিং ব্যবসার সম্পর্কে আজকে আপনাদেরকে জানাবো। যেখানে বাইরে যাওয়ার কোনো দরকার নেই। বাড়িতে বসে মোবাইল ও কম্পিউটার দিয়েই ভালো রোজগার হয়ে যাবে। নিচে এমনই ৬ টি ব্যবসার আইডিয়া(Business Idea) আপনাদেরকে দেওয়া হল।
১) ট্রান্সলেটর – এখন ডিজিটাল যুগে ট্রান্সলেটরের চাহিদা খুব বেড়েছে। হিন্দি থেকে ইংরেজি কিংবা ইংরেজি থেকে হিন্দি বা অন্যান্য ভাষায় ট্রান্সলেট করার চাকরি প্রচুর পাওয়া যায়। অনলাইনের মাধ্যমেও বহু সংস্থা এই কাজ করে. আপনি নিজের বাড়িতে বসেই এই কাজ করে মোটা টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এর জন্য প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করার কোন প্রয়োজন নেই।
২) ইউটিউব ভিডিও- এখন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আর শুধুমাত্র ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ কিংবা ইনস্টাগ্রাম নয়, ইউটিউবের দর্শক সংখ্যাও এখন বহু গুণ বেড়ে গিয়েছে। এর ফলে ইউটিউবারদের আয় তরতরিয়ে বাড়ছে। বিনিয়োগ এই ব্যবসার ক্ষেত্রে নেই বললেই চলে। শুধুমাত্র দরকার স্মার্টফোন, ক্যামেরা, কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট। আকর্ষণীয় কনটেন্ট তৈরি করতে পারলে ভিউজ বাড়লে চ্যানেলের উপার্জন শুরু হয়ে যায়। এছাড়া বিজ্ঞাপন, প্রোডাক্ট বিক্রি থেকে ইউটিউব এর পার্টনার হওয়ার সুযোগ, স্পন্সারস ভিডিও ইত্যাদি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থাকে। ফলে খুব সহজেই বাড়িতে বসে প্রচুর প্রচুর টাকা ইনকাম করা যায়। একজন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসাবে বছরে ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। আর যারা অনেক বেশি বিখ্যাত ক্রিয়েটর হয়ে গেছেন তাদের প্রত্যেক মাসের আয় কয়েক লক্ষ টাকা। এক্ষেত্রে সবটাই নির্ভর করছে ভিউজ এবং সাবস্ক্রাইবদের সংখ্যার উপর।
৩) অনলাইন ব্যবসা – ফ্লিপকার্ট, অ্যামাজনের মত প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করে আপনি আপনার বাড়ির যে কোন রকমের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসার মাধ্যমে প্রচুর অর্থ ইনকাম হবে আপনার।
৪) অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং- এই মার্কেটিংয়ে অন্যের প্রোডাক্টের প্রচার করতে হয়। এই ব্যবসা সম্পর্কে এখনো অনেকে অবগত নয়। কোন কোম্পানির ওয়েবসাইটে কত ট্রাফিক আসছে বা কতটা লিড হচ্ছে সে সমস্তটা দেখা এটার কাজ। এই কাজে কোন ঝুঁকি নেই বরং তার বদলে মোটা টাকা উপার্জন করা যায়। খুব সহজে এই কাজ করে বছরে আড়াই লাখ টাকা থেকে তিন লাখ টাকা ইনকাম হয়ে যাবে।
৫) গ্রাফিক ডিজাইনার: এখন ফ্রিল্যান্স গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের চাহিদা বেড়ে চলেছে। লোগো ডিজাইন, বিলবোর্ড ডিজাইন, বইয়ের কভার ডিজাইন ইত্যাদি বিভিন্ন রকমের কাজের ডিজাইন করে নিজের ব্যবসা বাড়ানো যেতে পারে। এই ক্ষেত্রে অনেক বেশি ডেডিকেটেডলি কাজ করতে হবে। ট্রেন্ডের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। একজন গ্রাফিক ডিজাইনার শুরুর দিকে বছরে তিন লাখ টাকা আয় করতে পারেন এবং পরবর্তীকালে দক্ষ এবং অভিজ্ঞতা বাড়লে ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা উপার্জন করা যায়।
৬) অনলাইন কোর্স: যে ব্যক্তি যে বিষয়ে দক্ষ তিনি সেই বিষয় সংক্রান্ত জিনিস অনলাইনে দেখিয়ে সেখান থেকে মোটা টাকা রোজগার করতে পারেন। কোচিং ক্লাস করানোর পাশাপাশি যোগাসন, নাচ, গান শেখানো কিংবা রান্না শিখিয়েও ভালো টাকা রোজগার হয়।
