ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় শো ইন্ডিয়ান আইডল। প্রতিবছর কতশত প্রতিভা উঠে আসে এই শো’এর হাত ধরে তার ইয়ত্তা নেই। ব্যতিক্রম নয় এই বছরও। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে ‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এর টপ ১৫ তালিকা। আর প্রতিযোগী তালিকায় চোখ রাখলেই দেখা যাবে বাংলার ছেলে-মেয়েরা জুড়ে রয়েছেন সিংহভাগ জুড়ে। অর্থাৎ ২০২১ সালের ‘সারেগামাপা’-র মতো এবারও বাংলায় ট্রফি আসার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি। তাহলে চলুন দেখে নিই কে কে রয়েছে এই তালিকায়।
বিদীপ্তা চক্রবর্তী : এর আগে ‘সারেগামাপা’-এর মঞ্চে দেখেছি বিদীপ্তাকে। এমনকি ফাইনাল অবদি পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। একইভাবে এবারও পৌঁছে গেছেন টপ-১৫ তে।
সোনাক্ষী কর : বছর ১৯ এর গায়িকার গায়কীতে অডিশন রাউন্ডেই মন হারিয়েছিলেন বিচারকরা। এর আগে তাকে দেখেছি সারেগামাপা লিটল চ্যাম্পস ২০১১-তে এবং ইন্ডিয়ান আইডল জুনিয়ার ২০১৩-তে।
সেঁজুতি দাস : মূলত বলিউড ক্লাসিক্যাল আর সেমি ক্লাসিক্যাল তার ঘরানা হলেও সব ধরণেই গান গাইতেই আগ্রহী এই বাঙালি গায়িকা। এখন দেখার বিষয় তিনি টপ ১৩ থেকে টপ ৫-এ যেতে পারেন কি না?
সঞ্চারী সেনগুপ্ত : সুপার সিঙ্গার জিতেছিলেন কসবার সঞ্চারী। ইতিমধ্যেই প্লে ব্যাক দুনিয়াতেও হাতেখড়ি হয়ে গেছে তার। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ‘অপেরা মিউজিক ভারতে অতটা প্রচলিত নয়। তাই আমি চাই বলিউডের গানের সঙ্গে অপেরা মিশিয়ে তা সবার সামনে থুলে ধরতে। যার সুযোগ আমাকে এই মঞ্চ দেব। আমি খুব আশাবাদী।’
অনুষ্কা পাত্র : নিউ আলিপুরের মেয়ে অনুষ্কা পাত্র। ইতিমধ্যেই তার গায়কী মন কেড়েছে বিশাল দাদলানির। ভালো গান তো গানই তার সাথে আরডি বর্মনের গলাও বেশ ভালোই নকল করেন। এর আগে জি বাংলার সারেগামাপা ২০২১-র ‘কালিকাপ্রসাদ স্মৃতি পুরস্কার’ ও ‘ভিউয়ার্স চয়েস পুরস্কার’ও পেয়েছিলেন তিনি।

প্রীতম রায় : সঙ্গীতের মহাযুদ্ধ, জি বাংলার সারেগামাপা-ইতিমধ্যেই অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। একটি মিউজিক ভিডিও-ও রয়েছে তার। এখন ইন্ডিয়ান আইডলের বিজেতার খেতাব জিততে পারেন কি না সেটাই দেখার বিষয়।
দেবস্মিতা রায় : এই বঙ্গতনয়ার দিকে তাকিয়ে আশায় বুক বাঁধছে গোটা বাঙলা। জনপ্রিয় ‘রোজরোজ আঁখো তালে’ গানটি গেয়েছেন দেবস্মিতা এর আগে। যা ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়াতেও।