“বিজলি থেকে খোকা বিড়ি জ্বালায়”, দেব অভিনীত ছবি ‘খোকাবাবু’র এই গানটি আজও সবার মনে আছে। স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর হলেও ধূমপান সামগ্রীর মধ্যে বিড়ি (Bidi) কিন্তু অত্যন্ত জনপ্রিয়। বিড়ির জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ হলো এর দাম। কম দাম হওয়ায় মানুষ সহজেই কিনতে পারে এই বস্তটি।
একটা সময়ে গ্রামাঞ্চলে বিড়ির ব্যবহার সবচেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হলেও বর্তমান সময়ে শহর বা শহরতলিতেও বিড়ির চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। উল্লেখ্য, শুকনো তামাক পাতার ভিতরে অথবা সুপারির পাতার ভিতরে তামাক পুরে বিড়ি তৈরী এই বিড়ি ছাড়া অনেকের খাবারই হজম হয়না।
আসলে দাম কম বলে নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয় এই বিড়ি। যদিও ফিল্টার না থাকার কারণে এখানে ক্ষতির পরিমাণ সামান্য বেশীই। যদিও বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, মেদিনীপুরে এই বিড়ি শিল্পের ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। কারণ বিড়ি তৈরীর কাঁচামাল এখান থেকেই পাওয়া যায়।
তবে এই বিড়ির প্রচলন কীভাবে হয় সেটা জানেন কি? কথিত আছে, তামাক কর্মীরা উচ্ছিষ্ট তামাক নিয়ে সেটিকে পাতায় মুড়ে প্রথম প্রচলন করে বিড়ির। সময়ের সাথে সাথে এই শিল্পে পরিবর্তন আসে। এবং মানুষ বিষয়টিকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যায়। জেনে অবাক হবেন যে, উত্তর আমেরিকা কিছু অংশে এবং ব্রিটিশ যুক্তরাষ্ট্রে বিড়ি বেশ জনপ্রিয় এক বস্তু।
এমতাবস্থায় প্রশ্ন আসতে পারে যে, যেহেতু ব্রিটিশরা এটি ব্যবহার করে তাই বিড়ির ইংরেজীও কিছু একটি থাকবে নিশ্চয়। যদিও হিন্দি ভাষায় বিশেষ পরিবর্তন নেই। এমতাবস্থায় জানিয়ে রাখি, ইংরেজী ভাষাতেও কোনো পরিবর্তন নেই। বিড়িকে ইংরেজি বিড়ি-ই বলা হয়। এখানে তিনটি বানানের চল রয়েছে, সেগুলো হলো BEEDI, BIDI এবং BIRI।