বাংলা সিনে দুনিয়ার (Tollywood) প্রথম সারিতে যে সমস্ত অভিনেতা রয়েছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম তাপস পাল (Tapas Paul)। তিনি ইহলোকে না থাকলেও আজ তিনি রয়ে গেছে বহু অনুরাগীদের মনে। বহু অভিনেতাদের ভিড়েও হারিয়ে যায়নি তাঁর অবদান। বাংলা সিনেমা (Bengali Cinema) জগতে তিনি এক উজ্জ্বল নক্ষত্র।
বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে আনাগোনা হয়েছে বহু অভিনেতার। তবে তাপস পালের জনপ্রিয়তা আজ হারিয়ে যায়নি। তাঁর শান্তশিষ্ট স্বভাব আর নিখুঁত অভিনয় দক্ষতার মধ্য দিয়েই তিনি জিতে নিয়েছেন দর্শকদের মন। আজও হাজার হাজার ভক্ত রয়েছে তাঁর। প্রিয় অভিনেতার স্মৃতিটুকু আগলে ধরেই বেঁচে আছেন যারা।
অভিনয় জীবনের শুরুটা একেবারেই অন্যরম ছিল এই অভিনেতার। আসলে তিনি যে সময় রুপোলি পর্দায় পা রেখেছিলেন সে সময় ছিলনা সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা সংবাদমাধ্যমের রমরমা। আর সে কারণেই খুব একটা বেশি তাঁকে চিনতেন না কেউ। তাই অবলীলায় এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াতেন জনপ্রিয় এই অভিনেতা।
তাঁর বরাবরই পছন্দ ছিল খুবই সাধারণ এবং ঝাপসা জীবনযাপন। পাড়ার পাঁচজন বন্ধুদের সঙ্গে কখনও বসে দিতেন আড্ডা। তো কখনও আবার সাইকেল চড়ে ঘুরে বেড়াতেন এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্ত। অল্প কিছু সংখক মানুষ তাঁকে চিনতে পারলেও অভিনেতা কখনই আগে থেকে কাউকে নিজের পরিচয় দিতেন না।
যদিও খুব বেশিদিন নিজের প্রতিভা সকলের কাছ থেকে লুকিয়ে রাখতে পারেননি তাপস পাল। কালজয়ী সিনেমা ‘দাদার কীর্তি’ পর চারিদিকে পড়ে যায় সিনেমার বড় বড় পোস্টার। আর তাতেই সকলেই জেনে যান অভিনেতার আসল পরিচয়। সে সময় তরুণ অভিনেতার প্রেমে পাগল ছিলেন হাজার হাজার মহিলা ভক্ত।
পড়াশুনোর পাশাপাশি সমানতালে তিনি চালিয়ে যাচ্ছিলেন অভিনয়। তবে পরিচিতি বেড়ে যাওয়ায় বেশ কিছু সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় তাঁকে। এমনকি পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় রিকশাতে চেপে, মুখ ঢেকে রাখতে হত তাঁকে। আজ কেবল তাঁর স্মৃতি টুকুই রয়ে গেছে। ইহলোকের মেয়ে ত্যাগ করে ৩ বছর আগে তিনি পারি দিয়েছেন পরলোকে।