ভারতের প্রথম মহিলা পপশিল্পী (Pop Star) বললে যে নামটা সবার মাথায় আসবে তিনি হলেন ঊষা উত্থুপ (Usha Uthup)। দীর্ঘ কেরিয়ারে (Career) বহু ব্লকব্লাস্টার ছবিতে গান গেয়েছেন তিনি। সঙ্গীতপ্রেমীদের উপহার দিয়েছেন একাধিক কাল্ট ক্লাসিক গান। তবে অনেকেই হয়তো জানেননা যে, প্রথম জীবনে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে তাকে। বহুবার হোঁচট খেয়েছেন আবার নিজেই উঠে দাঁড়িয়েছেন।
আসলে, বড্ড অল্প বয়স থেকেই রোজগারের চেষ্টা করতে হয়েছিল ঊষা উত্থুপকে। একটা সময় টাকার প্রয়োজনে শাড়ি পরেই নাইট ক্লাবে গানও গেয়েছেন ঊষা। এরপর তাকে বলিউডে ডেবিউ করার সুযোগ করে দেন তৎকালীন সুপারস্টার দেব আনন্দ। এই নিয়ে তাঁকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন নায়িকা।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “দিল্লিতে একটা নাইটক্লাবে দেব আনন্দ আমার গান শুনতে এসেছিলেন। তাঁর সঙ্গে এই দেখা হওয়াটা আমার জন্য বিশেষ ব্যাপার ছিল। খুবই উত্তেজিত ছিলাম। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর তিনি আমায় জিজ্ঞাসা করেছিলেন, আমি তাঁর ছবি ‘হরে রাম, হরে কৃষ্ণ’তে কাজ করব কি না।”
এই প্রসঙ্গে তিনি আরো জানান, দেব আনন্দ তার কণ্ঠ এবং গায়কি নাকি পছন্দ করেছিলেন। গায়িকার কথায়, “আমার গান খুব পছন্দ করতেন দেব আনন্দ। এর পরে আমি রাহুল দেব বর্মণ, বাপ্পি লাহিড়ীর মতো সঙ্গীত পরিচালকের সঙ্গেও কাজ করেছি।”দীর্ঘ ৫৩ বছরের কেরিয়ারে একাধিক ভাষায় একাধিক গান গেয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ভারী, খসখসে অথচ তীক্ষ্ণ কণ্ঠস্বর সবার মধ্যে ঊষাকে আলাদা জনপ্রিয়তা দিয়েছিল। গানের পাশাপাশি অভিনয়ও করেছেন টুকটাক। অভিনয়ের বিষয়ে গায়িকা জানান, অভিনয় করার কোনও প্ল্যান তার ছিল না। তা সত্বেও অমিতাভ বচ্চনের মতো তারকার সঙ্গে অল্প বয়সে অভিনয় করেছেন তিনি। দক্ষিণী ছবি ‘মাম্মুতি’তে অভিনয় করতে গিয়ে অনেক নতুন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাকে। এরপর ‘সাত খুন মাফ’ ছবিতে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার সাথে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সঙ্গীত জগতে তার অবদানের জন্য ২০১১ সালে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত হন ঊষা উত্থুপ। দীর্ঘ কেরিয়ারে কখনও বিষন্নতা গ্রাস করেনি তাকে? উত্তরে গায়িকা জানান, “চাপের মধ্যেই সবচেয়ে ভাল কাজ করতে পারি আমি। যখন দেখি কোনও কিছু আমার মন ভার করছে, আমি ১ থেকে ১৫ গুনি। এটা করলেই খারাপ লাগা চলে যায় আমার। কাজে কোনও বিরতিও চাই না।”