‘বামাক্ষ্যাপা’ হয়ে তিনি জয় করেছিলেন গোটা বাংলার মন। ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’ এ অভিনয়ের পর আরও বেড়েছে জনপ্রিয়তা। তবে মনের মানুষকে হারিয়ে অভিনয় জগত থেকে নিজেকে অনেকটাই দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন সব্যসাচী চৌধুরী (Sabyasachi Chowdhury)। ব্যক্তিগত জীবনের ঝড়ঝাপটা সামলে ভক্তদের মন রাখতে তিনি ফিরছেন ছোট পর্দায়। শীঘ্রই স্টার জলসার(Star Jalsa) পর্দায় দেখা যাবে মেগা সিরিয়াল ‘রামপ্রসাদ'(Ramprasad)।
যদিও মাসখানেক আগে প্রকাশ্যে এসেছে এই ধারাবাহিকের প্রমো। আর সেই থেকেই অপেক্ষায় দিন গুনছেন হাজারো সব্যসাচী ভক্ত। জানা যাচ্ছে, আগামী সোমবার থেকে স্টার জলসার পর্দায় দেখা যাবে এই মেগা ধারাবাহিক। ফুটে উঠবে রামপ্রসাদের জীবন কাহিনী। এই সিরিয়ালে রামপ্রসাদের সহ ধর্মিনী শর্বাণীর চরিত্রে দেখা যাবে সুস্মিলি আচার্যকে। মা কালীর চরিত্রে ধরা দেবেন পায়েল দে।
সম্প্রতি সিরিয়াল নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হলেন সব্যসাচী। ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর পর এই প্রথমবার সাংবাদিক বৈঠক সারলেন তিনি। যদিও আগেভাগেই পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন ব্যক্তিগত প্রশ্নের জবাব তিনি দেবেন না। এদিন সিরিয়ালের পাশাপাশি নিজের অতীত জীবন নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেতা। জানালেন সংগ্রামের কথা।
রামপ্রসাদ সম্পর্কে বলতে গিয়ে সব্যসাচী বলেন, ‘আমি বই পড়তে ভীষণ ভালোবাসি। এই ধারাবাহিকে আমাকে যে চরিত্রটি দেওয়া হয়েছে সে চরিত্রটি আমার বেশ পছন্দের। শিবের তাণ্ডব রুপই হলো শর্ব আর সেই রূপকে যিনি কন্ট্রোল করেন তিনি শর্বাণী। রামপ্রসাদকে সংসারে বেঁধে রাখার পেছনে রয়েছে তার বড় কৃতিত্ব। এমনকি একটা সময় তিনি হয়ে উঠবেন রামপ্রসাদের সাধনা সঙ্গী। এমন একজন শর্বাণী সকল পুরুষের জীবনেই প্রয়োজন’।
অভিনেতার সংযোজন, ‘আমি কোনদিনও প্রচার করে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ পাইনি। একটা কাজ করার পর সেই কাজ সকলের পছন্দ হওয়ার কারণে দ্বিতীয় কাজ পেয়েছি। তবে আমি কোনও আসনে বসবো এটা কখনও ভাবি না। আমাকে অনেকেই ভালোবাসে তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আবার অনেকে আমায় খারাপ বলে। এতে যদি কারোর লাভ হয় সেটাও বলুক। যদিও এই সব বিষয়ে আমি খুব একটা খোঁজখবর রাখতে ভালোবাসি না’।
অভিনয়ের পাশাপাশি লেখালেখি জারি রেখেছেন ঐন্দ্রিলার সব্যসাচী। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি না থাকলেও রয়েছে তাঁর হাজার হাজার ভক্ত। আর কখনই সামাজিক মাধ্যমে না ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অভিনেতা। তবে খুব শীঘ্রই প্রকাশিত হবে তাঁর নতুন বই। সঙ্গে থাকবে অডিও স্টোরি।