বাংলা হোক কী হিন্দি, সিনে ইন্ডাস্ট্রিতে মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty) আলাদাই প্রতিপত্তি। তিনিই একমাত্র তারকা যার সাথে শতাধিক ছবিতে কাজ করেছেন শক্তি কপূর (Shakti Kapoor)। জেনে অবাক হবেন যে, পর্দার এই দাপুটে খলনায়ক নাকি মিঠুনের ভয়ে ঢোক গিলতেন। কেন এত ভয়? চলুন জানাই আপনাদের।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার ছাত্র ছিলেন শক্তি। শক্তির চেয়ে এক বছরের সিনিয়র ছিলেন মিঠুন। নিজের পড়া শেষ করে ঐ কলেজের শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি। পুরোনো এক সাক্ষাৎকারে অতীত ঘেঁটে সেইসব দিনের কথা তুলে এনেছিলেন শক্তি কাপুর।
অভিনেতা জানান, একবার রাকেশ, বিনোদের সঙ্গে একটি ফোর্ড গাড়িতে চেপে কলেজ যাচ্ছিলেন তিনি। সেখানে পৌঁছে দেখেন, গেটের সামনে লম্বা চেহারার এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তার পরনে ছিল ছেঁড়া লুঙ্গি আর শক্তির হাতে ধরা ছিল বিয়ারের বোতল। অভিনেতা সোজা গিয়ে সেই ব্যক্তিকে বিয়ার খাওয়ার জন্য জোর করতে শুরু করে।
আর তারপরেই ঘটে অঘটন। শক্তির চুলের মুঠি ধরে ও ব্যক্তি বলেন, ‘‘আমি তোমার চেয়ে এক বছরের বড়। আমাকে মদ্যপান করতে বলছ কোন সাহসে?’’ তার পরেই শক্তিকে ঘিরে ধরেন তার সিনিয়রেরা। ঐ অবস্থাতেই তাকে নিয়ে যাওয়া হয় একটি অন্ধকার ঘরে। সিনিয়রদের মধ্যে ছিলেন বিজয়েন্দ্র ঘাটগের মতো তারকাও।
সেখানে গিয়ে শক্তির চোখে মুখে জলের ছিটে দিয়ে তার লম্বা চুল কেটে দেয়। এরপর রাত্রিবেলা সুইমিং পুলে সাঁতার কাটতেও বাধ্য করা হয় তাকে। সিনিয়রা তাকে সাবধান করে, এরপর যেন কোনোদিন সূরাপান করতে না দেখা যায় তাকে। পাশাপাশি সিনিয়রদের সাথে ভদ্রভাবে কথা বলারও আদেশ দেওয়া হয়।
সেখানেই মিঠুনের পরিচয় জানতে পারেন শক্তি কাপুর। এরপর মিঠুনই নাকি তাকে সেই সিনিয়রদের হাত থেকে বাঁচান। এবং তাকে আর শাস্তি না দিয়ে শক্তিকে তার ভুল বুঝিয়ে দিয়ে ছেড়ে দেন। এরপর ছাত্রাবাসে মিঠুনের সঙ্গে এক ঘরেই থাকতেন অভিনেতা। তিনি আরো বলেন, ‘‘আমি যখনই মিঠুনের কাছে আরও খাবার চাইতাম, উনি রাগ করতেন না। আগে আমাদের খাওয়ানোর পর তিনি নিজে খেতেন।’’ অভিনেতা আরো বলেন, ‘‘মিঠুন যদি আমার গালে চড়ও মারেন, তবুও আমি কিছু মনে করব না। অন্য কারও কথা শুনি না আমি। কিন্তু মিঠুনের কথা একবাক্যে পালন করি।’’