নব্বইয়ের দশকে বি টাউনে (Bollywood) যে কয়জন ডাকসাইটে সুন্দরী ছিল তারমধ্যে একজন হলেন মাধুরী দীক্ষিত (Madhuri Dixit)। সুন্দরী অভিনেত্রীদের তালিকার একদম প্রথম দিকে নাম লিখিয়ে ফেলেছিলেন অভিনেত্রী। অভিনয়ে তো তুখোড় ছিলেনই, পাশাপাশি নৃত্যশিল্পী হিসেবেও দারুন নামডাক ছিল তার। দর্শকের মনে জায়গা করে নিতে বেশি সময় নিতে হয়নি মাধুরীকে।
এমনকি মাধুরী সাথে শ্রীদেবীর তূল্যমূল্য বিচারও করা হত। দর্শকদের একাংশের ধারণা ছিল, নাচ এবং অভিনয় সবদিক দিয়েই শ্রীদেবীকে টক্কর দিতে পারেন মাধুরী। তবে তার এই স্টারডম কিন্তু একদিনে হয়নি। প্রথম ছবি ‘অবোধ’ রীতিমত মুখ থুবড়ে পড়েছিল বক্স অফিসে।
সেইসময় মাধুরীর অভিনয় প্রশংসিত হলেও বেশিরভাগ ছবিই বক্স অফিসে ব্যবসা করতে পারেনি। প্রথম চারটি ছবিই ফ্লপ হয়ে যায়। তবে কেরিয়ারের মোড় ঘুরে যায় ১৯৮৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দয়াবান’ ছবির পর থেকে। এই ছবিতে নিজের চেয়ে ২০ বছরের বড় বিনোদ খান্নার বিপরীতে অভিনয় করেন তিনি। চরিত্রের প্রয়োজনে করতে হয় অন্তরঙ্গ দৃশ্য।
তবে জানা যায়, এই ছবির জন্য নাকি ফিরোজের প্রথম পছন্দ ছিলেন শ্রীদেবী। তবে বলিউডের চাঁদনি নাকি সেইসময় এই অফার প্রত্যাখান করে দেন। আর তারপরেই মাধুরীকে প্রস্তাব দেন ফিরোজ। এককথায় রাজি হয়ে যান তিনি। যে চরিত্রে শ্রীদেবীর অভিনয় করার কথা ছিল, সেই চরিত্রে নবাগতা মাধুরীকে দেখে শুরু হয়ে যায় তুলনা।
এই ছবিতেই বিনোদ খান্নাকে চুমু খেয়েছিলেন মাধুরী। তবে নায়িকা জানান, এই ঘটনার পর পর্দায় কোনও অভিনেতার সঙ্গেই আর চুম্বনের দৃশ্যে অভিনয় করেননি তিনি। কারণ এই দৃশ্যের কারণে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল মাধুরীকে। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘আমার পরিবারের কেউ ফিল্মজগতের সঙ্গে যুক্ত ছিল না। তাই আমি কিছুই জানতাম না। তখনকার দিনে এ গ্রেড ছবির নায়িকারা যে চুম্বনের দৃশ্যে অভিনয় করতেন না, তা জানতাম না আমি।’’
অভিনেত্রী আরো বলেন, ‘‘মুক্তির পর আমি ছবিটি দেখেছিলাম। চুম্বনের দৃশ্যটি যে ছবিতে বিরাট কোনও পরিবর্তন এনেছিল তা মনে হয়নি আমার। ওই দৃশ্য বাদ দিলেও চলত। এই কাজ করার জন্য এখনও আফসোস করি।’’ আর এই বিতর্ক এড়াতেই আর কোনোদিন কোনো ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করেননি তিনি।