মুক্তির প্রথমদিন থেকেই দূর্দান্ত ফল করছিল আদা শর্মা (Adah Sharma) অভিনীত ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (Kerala Story)। সিপিএম শাসিত কেরলের প্রেক্ষাপটে তৈরি ছবি নিয়ে সেই রাজ্যে চাপানউতোরের শেষ নেই। আর এবার সেই তরজার ঢেউ এসে ঘা দিলো পশ্চিমবঙ্গেও (West Bengal) । কেরলের মুখ্যমন্ত্রী কড়া ভাষায় ছবিটির সমালোচনা করলেও তা ব্যান (Banned) করেননি। তবে এ রাজ্যে তো বন্ধই করে দেওয়া হল ছবিটি।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর মতে এই ছবি রাজ্যে দেখানো হলে অশান্তি সৃষ্টি হতে পারে। আর তাই তিনি নির্দেশ দিয়েছেন যাতে রাজ্যের সমস্ত হল থেকে ছবিটি তুলে নেওয়া হয়। পাশাপাশি নবান্নের কড়া নির্দেশ, যদি কোনো প্রেক্ষাগৃহে এই ছবি দেখানো হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে এরই ঠিক উল্টোপথে হাঁটলো যোগীর উত্তরপ্রদেশ।
যোগী সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, উত্তর প্রদেশে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ রিলিজ করার জন্য কোনো কর লাগবেনা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ছবিতে দেখানো হয়েছে, তিন মহিলার ব্রেন ওয়াশ করে কীভাবে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস-এ যোগদানে প্রভাবিত করা হয়। এবং এরপর তাদের জীবন কোন খাতে বয়ে যায়।
পাশাপাশি এটাও দেখানো হয়েছে যে, কীভাবে এই আইএস গোষ্ঠী বিভিন্ন ধর্মের মেয়েদের মগজধোলাই করে কনভার্ট করে। তাদের এক ভিন্ন স্বপ্ন দেখিয়ে দেশবিরোধী কাজে যুক্ত করে। এমতাবস্থায় অনেকেই মনে করছেন যে, বিশ্ব রাজনীতির এইরকম টালমাটাল পরিস্থিতিতে এরকম একটা মুভি তৈরি করা সত্যিই দরকার ছিল। আর সেই কারণেই পশ্চিমবঙ্গে ছবি ব্যান হওয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অনেকেই।
তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ‘দ্য কেরালা স্টোরি’-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ছবির প্রযোজক বিপুল শাহ আইনি পদক্ষেপ করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি জানান, ‘উনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) যদি এমনটা করে থাকেন, তাহলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব। দেশের আইন মেনে যা কিছু করা সম্ভব আমরা করব, আমরা লড়ব’।
প্রসঙ্গত, যে জায়গার প্রেক্ষাপটে এই ছবি তৈরি হয়েছে সেই কেরলেও ব্যান হয়নি এই ছবি। ছবির বিষয়বস্তুর কড়া সমালোচনা করলেও কেরল হাইকোর্ট স্পষ্ট জানায়, এই ছবি মোটেই ‘ইসলামোফোবিক নয়’।এদিকে দেশের বাকি রাজ্যেও রমরমিয়ে ব্যবসা করছে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। এখন দেখার বিষয় এই যে, পশ্চিমবঙ্গে কি এই ছবি আর দেখানোর অনুমতি দেওয়া হবে? আপাতত অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।